সেই হিমশৈল, যার ভয়ে কাঁপছে গ্রিনল্যান্ডের দু’টি গ্রাম।
থরথর করে ভয়ে কাঁপছে গ্রিনল্যান্ডের দু’-দু’টি গ্রাম। এই বুঝি গড়িয়ে এসে হামলে পড়ল ঘাড়ে। আর তাতেই নিকেশ হয়ে যাবে দু’-দু’টি গ্রাম গ্রিনল্যান্ডের ইন্নারসুটে।
কার ভয়ে কাঁপছে জানেন?
চেহারায় দু’-দু’টি আন্তর্জাতিক ফুটবল মাঠের (চওড়ায় সাড়ে ৬০০ ফুট) সমান আর ওজনে ১ কোটি ১০ লক্ষ টনের মস্ত একটা হিমশৈল (আইসবার্জ) এগিয়ে আসছে ইন্নারসুটের গ্রামদু’টির দিকে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০০ ফুট ওপর পর্যন্ত মাথা উঁচিয়ে রয়েছে সেই হিমশৈল। গ্রামদু’টির মোট বাসিন্দার সংখ্যা ১৬৯।
গ্রিনল্যান্ডের রাজধানী নুকের ৬০০ মাইল উত্তরে ইন্নারসুটের ওই দু’টি গ্রামের বাসিন্দাদের কপাল ভাল থাকলে, আচমকা খুব জোরালো ঝড়ে হিমশৈলটি এখন যেখানে রয়েছে, সেখান থেকে সরে গিয়ে ধীরে ধীরে চলে যেতে পারে বাফিন উপসাগরে।
আর কপাল যদি মন্দ হয় ইন্নারসুটের গ্রামদু’টির বাসিন্দাদের, তা হলে ভেসে যেতে হবে তাঁদের অতলান্ত জলের গভীরে। তুমুল বৃষ্টি অনেক দিন ধরে একনাগাড়ে হলেও চিড় ধরবে ওই হিমশৈলে। তা দু’টুকরো হয়ে যাবে। হিমশৈলের একটা বড় টুকরো গিয়ে পড়বে মহাসাগরে। আর তাতে ঘটবে ভয়ঙ্কর সুনামি। যাতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে ইন্নারসুটের দু’টি গ্রাম। আবহবিদরা বলেছেন, আর ক’দিন পর, তুমুল বৃষ্টি হবে ২২ জুলাই!
আরও পড়ুন- ২১০০ সালের মধ্যে গলে যাবে গ্রিনল্যান্ডের গ্লেসিয়ার?
আরও পড়ুন- গ্রিনল্যান্ডের পিটারম্যান হিমবাহের কেন্দ্রে বড় ফাটল, ধরা পড়ল নাসার ক্যামেরায়
স্থানীয় পুরসভার চেয়ারম্যান কার্ল পিটারসন কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পকে বলেছেন, ‘‘আমরা সত্যি-সত্যিই খুব ভয়ে ভয়ে রয়েছি। কখন যে কী হয়!’’
দু’টি গ্রামের ৩৩ জন বাসিন্দাকে ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে নিরাপদ জায়গায়। গ্রামদু’টির মৎস্যজীবীদের বলা হয়েছে তড়িঘড়ি তাঁদের নৌকোগুলি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে। ডেনমার্কের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ দাঁড় করানো রয়েছে কাছেপিঠে, যাতে বিপদে পড়া ওই দু’টি গ্রামের মানুষদের দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, হিমশৈলটি তরতর করে এগিয়ে এলে।