(বাঁ দিকে) ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভোলোদিমির জ়িলেন্সকি (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
রুশ সেনা ‘পরিকল্পনা মাফিক’ জ়াপোরিজ়িয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করেছে বলে অভিযোগ তুলল ইউক্রেন। রাশিয়া অধিকৃত ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের লাগোয়া ওই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপন্ন বিদ্যুতের দখল নেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই পরিকল্পনা হতে পারে বলে সোমবার জানিয়েছে ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সরকার।
ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী অ্যান্দ্রে সিবিহা সোমবার বলেন, ‘‘পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইনটি বিচ্ছিন্ন করেছে। জ়াপোরিজ়িয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি যাতে মস্কোর বিদ্যুৎ গ্রিডের সাথে সংযুক্ত করা যায় সেই উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ।’’ প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে যুদ্ধের গোড়াতেই ইউক্রেনের ওই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি আশপাশের এলাকার দখল নিয়েছিল রুশ সেনা। পরে রুশ পরমাণু নিয়ন্ত্রক সংস্থা রোসাটমের কর্মীরা জ়াপোরিজ়িয়া থেকে সরে যায়। কিন্তু আশপাশের অঞ্চলগুলি এখনও রুশ সেনার দখলে রয়েছে। জ়াপোরিজ়িয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের অবস্থান দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের এনেরহোদার শহরের অদূরে ডেনিপার নদীর অববাহিকায় কাখোভকা জলাধারের তীরে।
ডনবাস অঞ্চল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার এবং রাজধানী কিভের ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এই পরমাণু কেন্দ্র ইউক্রেনের অন্যতম বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র। সেটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ইউক্রেনের সরকার পোষিত সংস্থা এনারগোয়াটম। জ়াপোরিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মোট ছ’টি চুল্লি রয়েছে। যুদ্ধের আগে ওই পরমাণুকেন্দ্র ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করত। ওই পরমাণু কেন্দ্র থেকে জ়েলেনস্কির দেশের মোট পরমাণু শক্তির অর্ধেকই উৎপাদিত হত। কিন্তু ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান ঘোষণার পরেই সেখানে বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। ক্ষয়ক্ষতির কারণে ব্যাহত হয় উৎপাদন। গত বছরের অগস্টে রুশ হামলার জেরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কুলিং টাওয়ারের আগুন লেগে গিয়েছিল। এর জেরে তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানোর আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ নিয়ন্ত্রিত আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)!