UNSC

Ukraine-Russia Conflict: নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেন-ভোটে অংশ নিল না ভারত, চিন, ভেটো প্রয়োগ রাশিয়ার

ভারত ছাড়াও চিন এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি রাশিয়ায় বিরুদ্ধে আমেরিকা এবং তার সহযোগীদের আনা ওই প্রস্তাব ঘিরে ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রাষ্ট্রপুঞ্জ শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:৪৭
Share:

রাষ্ট্রপুঞ্জে ভোটাভুটিতে বিরত ভারত। ছবি: রয়টার্স।

রাষ্ট্রপুঞ্জে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটিতে অংশ নিল না ভারত। নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে আমেরিকা এবং তার সহযোগী রাষ্ট্রগুলির আনা ওই প্রস্তাব ঘিরে ভোটাভুটিতে অংশ না নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন, ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি।

রাশিয়ায় বিরুদ্ধে আনা ওই প্রস্তাবের পক্ষে ১১টি ভোট পড়ে। ভারত ছাড়াও চিন এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি। তবে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাশিয়া ভেটো প্রয়োগ করায় প্রস্তাবটি পাশ হয়নি নিরাপত্তা পরিষদে।

Advertisement

তিরুমূর্তি বলেন, ‘‘ইউক্রেনের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে ভারত গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে বৈরিতা এবং হিংসা বন্ধের আবেদন জানাচ্ছি আমরা।’’ একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই ইউক্রেন সঙ্কট সমাধানের পথ মিলতে পারে বলেও জানান তিনি। নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য ভারতের তরফে আগেই ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে ‘ভারসাম্যের কূটনীতির’ পথে হাঁটার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। শনিবার গুরুমূর্তির বক্তব্যেও তার প্রমাণ মিলেছে। আমেরিকা এবং তার সহযোগী দেশগুলির আনা প্রস্তাবে, ‘ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের জন্য রাশিয়ার কড়া নিন্দা’ করা হয়েছিল। নয়াদিল্লি পশ্চিমী দুনিয়ার সেই মস্কো বিরোধিতার উদ্যোগে শামিল হয়নি।

সোমবার রাতে ইউক্রেনের ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে (যাদের একত্রে ডনবাস বলা হয়) স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার। তার পরেই ওই দুই এলাকায় মস্কো-পন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলিকে সাহায্য করতে রুশ সেনার অনুপ্রবেশের খবরও মেলে। ওই ঘটনার জেরে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। তাতে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলি পুতিন সরকারের ওই সিদ্ধান্তকে ‘ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত’ তকমা দেয়। ওই দেশগুলি জানিয়ে দেয়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি ও অন্য পদক্ষেপ করবে তারা।

Advertisement

কিন্তু আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দেশগুলির ওই সিদ্ধান্তে শামিল হয়নি নরেন্দ্র মোদী সরকার। বরং ফের আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সঙ্কট মেটানোর সওয়াল করেন তিরুমূর্তি। তিনি বলেন, ‘‘পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এখনই সব দেশের বৈধ স্বার্থের কথা বিবেচনা করে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও সুস্থিতির লক্ষ্যে পদক্ষেপ করা উচিত।’’ এই প্রসঙ্গে ২০১৪-১৫ সালের মিনস্ক চুক্তির কথা উল্লেখ করেন তিরুমূর্তি। ইউক্রেন সংক্রান্ত সেই চুক্তি এখনও কার্যকর হয়নি।

নিরাপত্তা পরিষদে তিরুমূর্তির বক্তব্য, ‘‘রাশিয়া, ইউক্রেন ও ইউরোপের ওএসসিই (অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপ)-ভুক্ত দেশগুলিকে নিয়ে গঠিত গোষ্ঠীর আলোচনা হলে স্বাগত জানাবে ভারত।’’ সেই সঙ্গে তিনি জানান, রাশিয়া, ইউক্রেন, জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যে নরম্যান্ডি পর্যায়ের আলোচনারও পক্ষে ভারত। তিরুমূর্তির বলেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে গঠনমূলক কূটনীতিই এখন একমাত্র পথ।’’

বৃহস্পতিবার পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযান ঘোষণার পরে রাষ্ট্রপুঞ্জ নিরাপত্তা পরিষদে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত। তিরুমূর্তি বলেন, ‘‘দু’দিন আগে নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠক করেছিল এবং পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছিল। আমরা দ্রুত উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছিলাম এবং পরিস্থিতি সম্পর্কিত সমস্ত সমস্যা মোকাবিলায় কার্যকরী এবং যুক্তিগ্রাহ্য কূটনীতির উপর জোর দিয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, উত্তেজনা প্রশমিত করার জন্য আন্তর্জাতিক মহলের সাম্প্রতিক উদ্যোগে সাড়া মেলেনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন