‘সাধারণ সভায় উঠতে পারে কাশ্মীর প্রসঙ্গ’

তবে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদে কাশ্মীর নিয়ে প্রস্তাব আনতে ফের ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। বেশির ভাগ সদস্য রাষ্ট্র পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়নি বলে দাবি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রাষ্ট্রপুঞ্জ শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:১৬
Share:

ফাইল চিত্র। এপি।

আগামী সপ্তাহে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার অধিবেশনে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলতে পারেন মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস। তাঁর মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক এই তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘এই সমস্যা সমাধানে আলোচনাই একমাত্র রাস্তা বলে মনে করছেন মহাসচিব গুতেরেস। তাঁর মতে, কাশ্মীর সঙ্কটের মধ্যে মানবাধিকার রক্ষার বিষয়টিতেও যেন গুরুত্ব দেওয়া হয়।’’

Advertisement

তবে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদে কাশ্মীর নিয়ে প্রস্তাব আনতে ফের ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। বেশির ভাগ সদস্য রাষ্ট্র পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়নি বলে দাবি। সমর্থন পেতে ইমরান খানের দেশ চেষ্টা চালালেও ৫৭ দেশের প্রতিষ্ঠান ‘অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)-কেও পাশে পায়নি তারা। যা থেকে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আন্তর্জাতিক মঞ্চে জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে তুলে ধরতে নয়াদিল্লির কূটনৈতিক চেষ্টা সফল হয়েছে।

গত বুধবার পাকিস্তানের এক সাংবাদিক জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গুতেরেসের কাছে। উত্তরে মহাসচিব বলেন, ‘‘ওই অঞ্চলে মানবাধিকারের প্রতি পূর্ণ সম্মান বজায় রাখতে হবে। আর এই সমস্যা সমাধানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’’ এই সূত্রেই তিনি বলেছেন, তাঁর দফতর দু’দেশের জন্যই কাজ করতে রাজি, যদি তারা এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে আর্জি জানায়।

Advertisement

তবে রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরউদ্দিন গত কাল পাকিস্তান প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সন্ত্রাসের প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বহির্বিশ্বে সন্ত্রাসবাদই ভারতের মূল ভাবনা। ভারত চায়, বিশ্বের সব দেশ সন্ত্রাস মোকাবিলায় একজোট হোক।’’ রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার অধিবেশনের আগে এই বার্তা দিয়ে আকবরউদ্দিনের মন্তব্য, ‘‘আমাদের দেশের মানুষকে যথেষ্ট কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে। তাই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলিকে একজোট হয়ে এ বিষয়ে সক্রিয় হতে বলছি।’’

রাষ্ট্রপুঞ্জে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে কতটা লাভ হবে, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে পাকিস্তানের নাম না করে আকবরউদ্দিন বলেন, ‘‘হতেই পারে আরও কেউ এই বিষয় তুলবে, তারা আগেও সেটা করেছে। বাকিরা দেখুক, আন্তর্জাতিক মঞ্চকে কী ভাবে কাজে লাগাতে চাইছে ওরা। আমরা ওদের আগেও দেখেছি। সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোই ওদের মূল উদ্দেশ্য ছিল... এখন ওরা যেটা করতে পারে, সেটা হচ্ছে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য ছড়ানো। সেটা ওরা করবে কি না, ওরাই দেখুক। তবে বিষধর কলম বেশি দিন কাজ করে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন