Bangladesh on Rohingyas

রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠাতে প্রস্তাব রাষ্ট্রপুঞ্জে! বাংলাদেশ বলল: এত শরণার্থীর বোঝা আর নেওয়া যাচ্ছে না

বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে প্রায় ১৩ লক্ষ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন। তবে এই শরণার্থীদের ‘বোঝা’ আর বইতে পারছে না বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। রাষ্ট্রপুঞ্জে প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর এমনটাই দাবি বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলের।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৫ ২০:২৬
Share:

বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জন্য শরণার্থী শিবির। ছবি: রয়টার্স।

রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরানোর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে ফের এক বার প্রস্তাব গৃহীত হল রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায়। বুধবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার তৃতীয় কমিটিতে যৌথ ভাবে প্রস্তাবটি পেশ করে দুই আন্তর্জাতিক জোট— ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং অর্গানাইজ়েশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)। ২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছরই রোহিঙ্গা সংক্রান্ত প্রস্তাব যৌথ ভাবে পেশ করে আসছে ইইউ এবং ওআইসি।

Advertisement

মায়ানমারে গৃহযুদ্ধের পর থেকে রাখাইন প্রদেশে বসবাসকারী মুসলিম জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি ক্রমশ শোচনীয় হয়ে উঠেছে। প্রচুর রোহিঙ্গা প্রাণভয়ে মায়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশ এবং অন্য নিকটবর্তী দেশগুলিতে পালিয়ে যাচ্ছেন। রয়টার্স অনুসারে, বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে প্রায় ১৩ লক্ষ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন। তবে বাংলাদেশের ওই শরণার্থী শিবিরগুলি ক্রমশ বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে উঠছে বলে দাবি করা হয়েছে রয়টার্সের ওই সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদসংস্থা ‘বাসস’ জানাচ্ছে, এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের বাংলাদেশি প্রতিনিধদল। তবে একই সঙ্গে গত আট বছর ধরে রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না-হওয়া নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছে তারা। ‘বাসস’ অনুসারে, ঢাকার প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপুঞ্জে জানিয়েছে, ১৩ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার বোঝা আর বইতে পারছে না বাংলাদেশ। রোহিঙ্গাদের তাই মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য দ্রুত আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে তারা।

Advertisement

প্রস্তাবটি রাষ্ট্রপুঞ্জে গৃহীত হওয়ার পরে ইতিমধ্যে একটি বিবৃতি দিয়েছে ইইউ। মায়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্যাতন এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় গোষ্ঠী। মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই পরিস্থিতির মাঝেই সেখানে নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্তে সামরিক বাহিনীর উদ্দেশ্য নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা। ইইউ বিবৃতিতে জানিয়েছে, মায়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদে, স্বেচ্ছায় সে দেশে ফেরত পাঠানোর সম্ভাবনা খুবই কম।

এ অবস্থায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মায়ানমারে নিরাপদে ফেরত পাঠানোর জন্য নতুন করে আন্তর্জাতিক স্তরে উদ্যোগ বৃদ্ধি করার আহ্বান জানানো হয়েছে ওই প্রস্তাবে। ‘বাসস’ অনুসারে, বুধবার গৃহীত হওয়া ওই প্রস্তাবটিতে ১০৫টি দেশ সমর্থন জানিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement