(বাঁদিকে) লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেফ্রি ক্রুজ় এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডানদিকে)। —ফাইল চিত্র।
মার্কিন সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা (ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সি বা ডিআইএ) প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেফ্রি ক্রুজ়কে বরখাস্ত করল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। সেই সঙ্গে নৌ এবং সেনার দুই প্রথম সারির কর্তাকেও শুক্রবার রাতে অপসারিত করা হয়েছে।
তবে কোনও সেনাকর্তাকে বরাখাস্তের কোনও কারণ জানায়নি হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তিন সামরিক কর্তাকে ‘অব্যাহতি’ দেওয়া হয়েছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেফ্রির পাশাপাশি ট্রাম্পের ‘কোপে’ পড়েছেন নৌসেনার রিজার্ভ বাহিনীর প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল ন্যান্সি ল্যাকোর এবং ‘ন্যাভাল স্পেশাল ওয়ারফেয়ার কমান্ড’-এর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মিল্টন স্যান্ডস। মিল্টন একদা মার্কিন ‘নেভি সিল’ কমান্ডো বাহিনীরও প্রধান ছিলেন।
হোয়াইট হাইসে ট্রাম্পের দ্বিতীয় বার প্রবেশের পর থেকেই ধারাবাহিক ভাবে পেন্টাগনের অন্দরে ‘অস্থিরতার’ আঁচ প্রকাশ্যে আসছে। বরখাস্ত হয়েছেন আমেরিকার সেনা সর্বাধিনায়ক (চেয়ারম্যান, ‘জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ’) জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউন জুনিয়র এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ)-র প্রধান জেনারেল টিমোথি হাফকের মতো শীর্ষ সামরিক কর্তা! এ বার কোপ পড়ল মার্কিন সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের উপর।
২১ জুন গভীর রাতে মার্কিন ‘স্টেল্থ’ বোমারু বিমান ‘বি-২ স্পিরিট’ ইরানের তিন পরমাণুকেন্দ্র— নাতান্জ়, ফোরডো এবং ইসফাহানে জিবিইউ-৫৭ (বাঙ্কার ব্লাস্টার সিরিজ়ের সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা) ফেলার পরে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তেহরানের পরমাণু অস্ত্র নির্মাণের পরিকাঠামো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি ডিআইএ প্রধান জেফ্রি একটি রিপোর্ট পেশ করে জানিয়েছিলেন, বাঙ্কার ব্লাস্টারের আঘাতে ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলির তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি! ঘটনাচক্রে, সেই রিপোর্ট পেশের এক মাসের মধ্যেই বরখাস্ত করা হল তাঁকে।