(বাঁ দিকে) ভ্লাদিমির পুতিন। ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে) — ফাইল চিত্র।
রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করলে ভয়ানক শাস্তি পেতে হবে। এমনকি, মাথায় চাপতে পারে ৫০০ শতাংশ শুল্কের বোঝা! এ বার দেশগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে এমনটাই জানিয়ে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, মস্কোর সঙ্গে এখনও বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়া দেশগুলির উপর খুব শীঘ্রই ৫০০ শতাংশ শুল্ক চাপাতে পারে আমেরিকা। এ নিয়ে আলাদা করে আইন প্রণয়নের কথাও ভাবা হচ্ছে। ট্রাম্প বলেন, ‘‘রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা একটি কঠোর আইন তৈরি করছেন। আমি শুনেছি তাঁরা এটা করতে চলেছেন এবং আমি এর সঙ্গে সহমত। রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করা যে কোনও দেশের উপর খুব কঠোর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে। এর সঙ্গে ইরানকেও যুক্ত করা হতে পারে। আমিই এই পরামর্শ দিয়েছি।’’ ট্রাম্প জানিয়েছেন, মূলত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপর চাপ সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ।
চলতি বছরেই কংগ্রেসে এ সংক্রান্ত একটি বিল উত্থাপন করেছেন মার্কিন সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম। এই বিলে রাশিয়ান তেল দ্বিতীয় বার কেনা এবং পুনঃবিক্রয়ের উপর ৫০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে! সেনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটিতে এই প্রস্তাব সর্বসম্মত ভাবে সমর্থন পেয়েছে। বিল আইনে পরিণত হলে তার নাম দেওয়া হবে ‘রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আইন ২০২৫’ (স্যাঙ্কশনিং রাশিয়া অ্যাক্ট, ২০২৫)। গ্রাহামের পাশাপাশি সেনেটর রিচার্ড ব্লুমেন্থালও যৌথ ভাবে এই আইন প্রবর্তনের জন্য উদ্যোগী হয়েছেন। সেনেটে ৮৫ জন সমর্থকও জুটে গিয়েছে প্রস্তাবিত আইনটির।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার থেকে তেল কেনার ‘শাস্তি’ হিসাবে ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশ খানিকটা বেশি। আমেরিকার যুক্তি, তেল বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করছে পুতিনের দেশ। তা রুখতে আগামী ২১ নভেম্বর থেকে আমেরিকার তরফে রাশিয়ার দুই বৃহত্তম তেল সংস্থা রসনেফ্ট এবং লুকঅয়েলের উপর নিষেধাজ্ঞাও চাপানো হয়েছে। তবে এত কিছুর পরেও রুশ তেলের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেতা ভারত। তথ্য বলছে, শুধু অক্টোবর মাসেই মস্কোর তেল কিনতে ২৫০ কোটি ইউরো (প্রায় ২৬,২৫০ কোটি টাকা) খরচ করেছে নয়াদিল্লি। ফলে নতুন আইন এলে ভারতের উপর তার কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে চিন্তিত বিভিন্ন মহল।