Donald Trump

গণছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে আমেরিকার বিদেশ দফতর! আমলাতন্ত্রের ফাঁস কমাতেই পদক্ষেপ, দাবি ট্রাম্প প্রশাসনের

আমেরিকার একটি নিম্ন আদালতের রায়ে গণছাঁটাই প্রক্রিয়া কিছু দিনের জন্য থমকে গিয়েছিল। সম্প্রতি আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে জানিয়েছে, এই বিষয়ে আপাতত এগোতে পারবে ট্রাম্প প্রশাসন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫ ১৫:৩৩
Share:

ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

গণছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছে আমেরিকার বিদেশ দফতর। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ দফতরের সহকারী সচিব (মানবসম্পদ এবং ব্যবস্থাপনা) মাইকেল জে রিগাস একটি অভ্যন্তরীণ বার্তায় কর্মীদের জানিয়েছেন, কাদের চাকরি থাকছে, তা খুব শীঘ্রই জানানো হবে। মার্কিন কূটনীতিকদের একাংশ জানিয়েছেন, শুক্রবারই কর্মীদের কাছে ছাঁটাইয়ের নোটিস পৌঁছে যাবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় বারের জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেই প্রশাসনিক ব্যয় সঙ্কোচের কথা বলছেন ট্রাম্প। তার পর থেকে তাঁর প্রশাসন একাধিক দফতর থেকে বহু কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। অবশ্য একটি নিম্ন আদালতের রায়ে গণছাঁটাই প্রক্রিয়া কিছু দিনের জন্য থমকে গিয়েছিল। সম্প্রতি আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে জানিয়েছে, এই বিষয়ে আপাতত এগোতে পারবে ট্রাম্প প্রশাসন। ঘটনাচক্রে, তার পরেই আমেরিকার বিদেশ দফতরে গণছাঁটাইয়ের খবর শোনা যায়।

আমেরিকার বিদেশ সচিব মার্কো রুবিয়ো অবশ্য জানিয়েছেন, প্রশাসনিক ব্যয় কমানোর জন্য নয়, আমলাতান্ত্রিক ফাঁস কমাতেই গণছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছেন তাঁরা। তিনি এ-ও জানিয়েছেন যে, আমেরিকা থেকে বিপ্লবী মতাদর্শ দূর করতে এবং সে দেশের মূল্যবোধকে রক্ষার স্বার্থেই নতুন করে সাজানো হচ্ছে বিদেশ দফতরকে। গত মে মাসেই এই পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন রুবিয়ো। ট্রাম্পবিরোধীদের অভিযোগ, ক্রমশ কূটনৈতিক পরিসর কমিয়ে আনছে হোয়াইট হাউস। তারই অঙ্গ হিসাবে এই গণছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে।

Advertisement

মার্কিন দৈনিক ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, আপাতত বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে যাঁরা কর্মরত, তাঁদের ছাঁটাই করা হচ্ছে না। আমেরিকায় বিদেশ দফতরের বিভিন্ন পদে যে ১৮ হাজার কর্মী কাজ করেন, তাঁদের মধ্যে ১৫ শতাংশকে ছাঁটাই করা হচ্ছে। পশ্চিম এশিয়া কিংবা ইউক্রেনে ভূ-রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যেই এই কর্মী সঙ্কোচনের সিদ্ধান্ত কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement