গাজ়ায় গোপনে হামলার পরিকল্পনা করছে প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। —ফাইল চিত্র।
গাজ়ায় অনেক চেষ্টা করে আপাত শান্তি ফিরিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সমঝোতা হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই ফের অশান্তির আঁচ পেলেন মার্কিন গোয়েন্দারা। অভিযোগ, গাজ়ায় নতুন করে হামলার ছক কষছে হামাস। তাদের সাবধান করে কড়া হুঁশিয়ারিও দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
আমেরিকার বিদেশ দফতর থেকে শনিবার (স্থানীয় সময়) একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আমেরিকা ‘বিশ্বস্ত সূত্রে’ খবর পেয়েছে, হামাস নতুন হামলার পরিকল্পনা করছে। বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘প্যালেস্টাইনিদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত হামলা যুদ্ধবিরতি চুক্তি সরাসরি লঙ্ঘন করবে। সমঝোতার মাধ্যমে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা অনর্থক হয়ে পড়বে।’’ হামাসকে তাদের দেওয়া কথা রাখবে হবে, দাবি আমেরিকা-সহ যুদ্ধবিরতির জামিনদার (গ্যারেন্টার) দেশগুলির।
হামাস যদি তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী পদক্ষেপ করে, তবে গাজ়ার মানুষকে রক্ষা করার স্বার্থে এবং যুদ্ধবিরতি রক্ষার স্বার্থে পাল্টা কঠোর পদক্ষেপ করবে আমেরিকা, জানিয়েছে বিদেশ দফতর।
হামাস এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে যে সমঝোতা হয়েছে, তার জামিনদার হিসাবে রয়েছে আমেরিকা এবং আরও কিছু দেশ। পশ্চিম এশিয়ায় স্থায়ী শান্তির জন্য তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, দাবি বিবৃতিতে। ট্রাম্প সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘যদি হামাস গাজ়ায় হত্যালীলা চালিয়ে যায়, যেটা চুক্তিতে ছিল না, তবে আমাদের হাতেও ওদের মেরে ফেলা ছাড়া আর কোনও বিকল্প থাকবে না।’’
তবে কি হামাসকে সামলাতে এবং নতুন করে যুদ্ধ রুখতে গাজ়ায় সেনা মোতায়েন করবে আমেরিকা? সেই সম্ভাবনা অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘‘না, আমরা এখনই সেটা করব না। আমাদের সেটা করতে হবে না। আমাদের লোক কাছাকাছি আছে। তারা গিয়ে সহজেই যা করার করতে পারবে। তবে আমাদের নির্দেশে।’’ হামাসকে সামাল দিতে কাদের ব্যবহার করবে আমেরিকা, তা খোলসা করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।