ভারত এবং আমেরিকা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দুই গণতন্ত্র। এমন মন্তব্যই করেছেন মার্কিন বিদেশ সচিব। — প্রতীকী ছবি।
ভারত এবং আমেরিকা পরস্পরের আদর্শ মিত্র এবং ভারতের সঙ্গে আগামী ১০০ বছরের জন্য বন্ধুত্ব সুনিশ্চিত করতে চায় আমেরিকা। বার্তা মার্কিন বিদেশ সচিব রেক্স টিলারসনের। বুধবার ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে এক আলোচনা চক্রে অংশ নেন মার্কিন বিদেশ সচিব। সেখানেই তিনি ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে আরও মজবুত মিত্রতার সম্ভাবনার আশাপ্রকাশ করেন। এই দুই দেশকে ‘পৃথিবীর দুই শ্রেষ্ঠ গণতন্ত্র’ বলে আখ্যা দেন টিলারসন। একই দিনে চিনের প্রতি মার্কিন বিদেশ সচিবের বার্তা কিন্তু যথেষ্ট কড়া। বৃহৎ শক্তি হওয়া সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক নিয়ম ও বিধি মেনে চলার মতো দায়িত্ববোধ দেখাতে শেখেনি চিন— মার্কিন বিদেশ সচিবের মন্তব্য এই রকমই।
‘‘আমেরিকা এবং ভারতের মধ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং সামরিক সমন্বয় ক্রমশ বাড়ছে’’, বলেছেন রেক্স টিলারসন। তিনি আরও বলেন, ‘‘শুধুমাত্র গণতন্ত্রের প্রতি ভালবাসারা কারণেই যে ভারতীয় এবং আমেরিকানরা পরস্পরের কাছাকাছি এসেছে, তা নয়। ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিও একই রকম।’’ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলকে গোটা বিশ্বের জন্য ‘স্বাধীন ও উন্মুক্ত’ রাখার স্বার্থেই ভারত ও আমেরিকার মিত্রতা অত্যন্ত জরুরি বলে রেক্স টিলারসন মন্তব্য করেছেন। এই সুবিশাল অঞ্চলের সমৃদ্ধির স্বার্থেই ভারত ও আমেরিকা আগামী ১০০ বছরের জন্য বন্ধুত্ব গড়ার পথে এগোচ্ছে বলে ট্রাম্পের বিদেশ সচিব জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ‘পরিবার’-এর সঙ্গেই দিওয়ালি কাটালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
চিনে যে দিন শাসক কমিউনিস্ট পার্টির সম্মেলন শুরু হয়েছে, সে দিনই কিন্তু চিনের প্রতিবেশী তথা অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে চিনের অন্যতম প্রধান প্রতিপক্ষ ভারতকে আরও কাছে টানার কথা বলেছেন টিলারসন। প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং-এর প্রতি এই পরোক্ষ বার্তাতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি টিলারসনের খোঁচা। দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিং আগ্রাসন দেখাচ্ছে এবং চিনের আচরণে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার প্রবল অভাব বলেও মার্কিন বিদেশ সচিব টিলারসন মন্তব্য করেছেন। ভারত এবং আমেরিকা আন্তর্জাতিক আইন-কানুন এবং রীতি-নীতিকে যেখানে দায়িত্বের সঙ্গে মেনে চলে, সেখানে ভারতের প্রতিবেশী চিনের মধ্যে দায়িত্বশীলতার অভাব অত্যন্ত প্রকট বলে টিলারসনের মত।
আরও পড়ুন: তালিবান হানার মধ্যেই কাবুলে দৌত্য ডোভালের
আগামী সপ্তাহেই ভারত সফরে আসছেন আমেরিকার বিদেশ সচিব। ভারত-মার্কিন মৈত্রী আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যেই তাঁর এই ভারত সফর। তার আগেই ভারতের সঙ্গে আগাগী ১০০ বছরের বন্ধুত্বের কথা বলা এবং ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে চিনকে আক্রমণ করা টিলারসনের সুচিন্তিত পদক্ষেপ বলে কূটনৈতিক মহল মনে করছে।