Coronavirus in America

দ্রুত গতিতে টিকাকরণ আমেরিকায়

প্রথম করোনাভাইরাস কোথা থেকে ছড়িয়েছিল, সেই উৎসের সন্ধানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র দল এখন চিনে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:১৭
Share:

ফাইল চিত্র।

অবশেষে কিছুটা আশার আলো দেখছে আমেরিকা। দেশ জুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে গেল কোভিড টিকাকরণ। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, গত সোমবার পর্যন্ত আমেরিকায় করোনা-আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ৬৩ লক্ষ মানুষ। প্রতিষেধক পেয়েছেন ২ কোটি ৬৫ লক্ষ। অর্থাৎ, দেশের বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ প্রতিষেধকের একটি ডোজ় পেয়ে গিয়েছেন।

Advertisement

ডিসেম্বরে কোভিড-প্রতিষেধককে জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র দেয় আমেরিকা। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানার শেষ ক’দিনে অভিযোগ ওঠে, টিকাকরণের গতি একেবারে শ্লথ। টিকা নষ্ট হওয়ার অভিযোগও ওঠে। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্ব গ্রহণের পরেই গতি পেয়েছে প্রক্রিয়া। এখন প্রতি দিন ১৩ লক্ষ ৪০ হাজার টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকাকরণের দৌড়ে আমেরিকার থেকে এগিয়েছে তিনটি দেশ— ইজ়রায়েল, ব্রিটেন ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।

গোটা বিশ্বে এখন সংক্রমিতের সংখ্যা ১০ কোটি ৪৪ লক্ষের বেশি। মৃত ২২ লক্ষ ৬৫ হাজার ছাড়িয়েছে। আমেরিকা শীর্ষে। বুধবার পর্যন্ত ২ কোটি ৭০ লক্ষ সংক্রমিত। ৪ লক্ষ ৫৭ হাজার জন প্রাণ হারিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণ পদ্ধতি গতি পাওয়ায় খুশি বিশেষজ্ঞেরা। ‘সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর কর্তা জে বাটলার বলেন, ‘‘ট্রেন্ডটা বেশ উৎসাহ দেওয়ার মতো। তবে মনে রাখা উচিত, দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা কিন্তু এখনও অনেকটা বেশি।’’ অতিমারি বনাম ভ্যাকসিনের যুদ্ধে ভাইরাস ফের ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সে কথাও মনে করিয়েছেন বাটলার। আর সেই ঘুরে দাঁড়ানোর অন্যতম অস্ত্র ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো নয়া স্ট্রেনের আগমন।

Advertisement

প্রথম করোনাভাইরাস কোথা থেকে ছড়িয়েছিল, সেই উৎসের সন্ধানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র দল এখন চিনে। আজ উহানের একটি বিতর্কিত ভাইরোলজি ল্যাবে গিয়েছিল তদন্তকারী দল। বিতর্কের কারণ— প্রাক্তন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ‘উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি’র ল্যাব থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে। কোনও প্রমাণ অবশ্য তিনি দিতে পারেননি। বর্তমানে যে ভাইরাসে আক্রান্ত গোটা পৃথিবী, সেটি সার্স-কোভ-২। গত বছর ‘নেচার’ পত্রিকার একটি রিপোর্টে অবশ্য দাবি করা হয়েছিল, ভাইরাসটি ল্যাবে তৈরি করা নয়। আজ হু-র তদন্তকারী দলের সদস্য পিটার ডাসজ্যাকও সেই সুরে বলেন, ‘‘এই গবেষণাগার সম্পর্কে আমি ভাল করে জানি। খুবই ভাল গবেষণা করছে ওরা। দুর্ভাগ্যজনক, ওদের ঘাড়ে সবাই দোষ চাপাচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন