Viral

১৮ হাজার বছরের পুরনো এই ছানাটি কুকুর না নেকড়ে? বিজ্ঞানীরা বলছেন...

বিজ্ঞানীরা পরীক্ষার পরেও নিশ্চিত করে বলতে পারেননি এটি কুকুর না নেকড়ে। তবে ছানাটির বয়স যখন দু’ মাস ছিল তখনই তার মৃত্যু হয়। কী কারণে মৃত্যু হয় তা অবশ্য এখনও জানাতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তবে এটি যে প্রায় ১৮ হাজার বছর আগের প্রাণী সে সম্পর্কে নিশ্চিত তাঁরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মস্কো শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:৪০
Share:

সাইবেরিয়ায় উদ্ধার হওয়া ১৮ হাজার বছর পুরনো প্রাণী। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

সাইবেরিয়ায় উদ্ধার হল একটি লোমশ চতুষ্পদ প্রাণীর দেহ। যেটি ১৮ হাজার বছরের পুরনো। কিন্তু সেটি কুকুর না নেকড়ের ছানা তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। যদিও ১৮ হাজার বছরের পুরনো হলেও বরফের তলায় এই নেকড়ে বা কুকুর ছানার দেহটি একদম অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। ছানাটির গায়ের লোম, চোখ সহ সব গোটা শরীরের সব কিছুই একদম অক্ষত রয়েছে। যা দেখলে মনে হবে ক’দিন আগে এর জন্ম হয়েছে।

Advertisement

দ্য সেন্টার ফর পালিওজেনেটিক্স (সিপিজি)-এর টুইটার হ্যান্ডলে ২৫ নভেম্বর এই শাবকটির ছবি পোস্ট করা হয়েছে। সিপিজি হল স্টকহলম ইউনিভার্সিটি ও সুইডিশ মিউজিয়াম অব ন্যাচরাল হিস্ট্রির একটি যৌথ উদ্যোগ। তারাই সাইবেরিয়া খোঁজ চালিয়ে এই কুকুর বা নেকড়ের ছানাটি পেয়েছে। সেই ছবিই পোস্ট করা হয়েছে। সিপিজি-র টুইটার অ্যাকাউন্টে। পোস্টটিতেই উল্লেখ করা হয়েছে, এটি কুকুরের না নেকড়ের ছানা তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

শাবকটি উদ্ধারের পর তার নমুনা পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য। কিন্তু বিজ্ঞানীরা পরীক্ষার পরেও নিশ্চিত করে বলতে পারেননি এটি কুকুর না নেকড়ে। তবে ছানাটির বয়স যখন দু’ মাস ছিল তখনই তার মৃত্যু হয়। কী কারণে মৃত্যু হয় তা অবশ্য এখনও জানাতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তবে এটি যে প্রায় ১৮ হাজার বছর আগের প্রাণী সে সম্পর্কে নিশ্চিত তাঁরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: দু’কোটির পোর্সা নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা জরিমানার মুখে গাড়ি মালিক

নেকড়েই হোক বা কুকুর, এই ছানাটি জীব বিজ্ঞানের গবেষণার অনেক কাজে লাগবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি এর থেকে অনেক অজানা তথ্য পাওয়া যেতে পারে।

আরও পড়ুন: হেলমেট না পরায় জরিমানা, বাইক আরোহীর এমন অবস্থা হল সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে এলেন পুলিশ কর্মী

এই ছানাটির একটি নামও দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সিপিজি-র টুইটে। সাইবেরিয়ার স্থানীয় ইয়াকুট ভাষায় এর নাম রাখা হয়েছে ‘ডোগোর’, যার অর্থ ‘বন্ধু’। বিজ্ঞানীরা এখন বন্ধুর কাছ থেকে কী কী তথ্য পাওয়া যায় তা নিয়েই গবেষণায় ব্যস্ত।

দেখুন সেই টুইট:

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন