squid

নিউজিল্যান্ডের সমুদ্রতটে ১৪ ফুটের দৈত্যাকার স্কুইড!

১৪ ফুটের একটা দৈত্যাকার স্কুইড। বিশাল বিশাল চোখ। প্রায় ১০ ইঞ্চি ব্যাস হবে স্কুইডটির চোখের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়েলিংটন শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৮ ১৫:১১
Share:

সমুদ্রতটে দৈত্যাকার স্কুইড। ছবিটি ওশেন হান্টার স্পেয়ারফিশিং অ্যান্ড সি ডাইভিং স্পেশালিস্টের ফেসবুক পোস্ট থেকে নেওয়া।

নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনের সমুদ্রতট। তিন ভাই ড্যান, জ্যাক আর ম্যাথিউ অ্যাপলিন সমুদ্রের আশপাশেই বেড়াচ্ছিলেন, এমন সময় আচমকাই চোখে পড়ল বিশাল একটা প্রাণী। ১৪ ফুটের একটা দৈত্যাকার স্কুইড। বিশাল বিশাল চোখ। প্রায় দশ ইঞ্চি ব্যাস হবে স্কুইডটির চোখের। আর রয়েছে আটটি বিশাল শুঁড়। এই দৈত্যাকার স্কুইডটির মৃতদেহ ভেসে এসেছিল সমুদ্রতটে। তখনই তিন ভাইয়ের চোখে পড়ে এটি।

Advertisement

তিন ভাইয়ের মধ্যে ড্যান অ্যাপলিন ওশেন হান্টার স্পেয়ারফিশিং অ্যান্ড সি ডাইভিং স্পেশালিস্ট। মুহূর্তের মধ্যেই দৈত্যাকার স্কুইডের ছবি তুলে পোস্ট করলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই পোস্ট হয় ভাইরাল। শুধুমাত্র সোমবার সকালেই এই ছবিটি শেয়ার হয়েছে প্রায় ৬ হাজার বার।

অ্যাপলিন ভাইরা বলেন, রেড রক রিজার্ভের কাছেই সমুদ্রতটের পাশে তাঁরা গাড়ি চালাচ্ছিলেন। এর পরই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড অ্যাটমস্ফেয়ারিক রিসার্চের গবেষকদের খবর দেন তাঁরা। স্কুইডের মৃতদেহটিকে নিয়ে যান তাঁরা। ৩৩ ফুটের এই স্কুইডটির ওজন ২০০ কিলোগ্রাম। যদিও এটি বৃহত্তম স্কুইড নয়। এর আগে ৪৩ ফুটের একটি স্কুইড ধরা পড়েছিল স্মিথসোনিয়ান সাগরে।

Advertisement

বিশাল স্কুইডটিকে ফেসবুকের পোস্টে দেখে চমকে উঠেছেন অনেকেই। ‘এত বড় স্কুইডও হয় নাকি, এত দৈত্য!’, ‘দূষণের ফলেই সামুদ্রিক প্রাণীরা আজ বিপন্ন’, ‘এই প্রাণীটির কীভাবে মৃত্যু হল জানা যায়,’ এ জাতীয় মন্তব্য ভেসে আসে ফেসবুকে।

আরও পড়ুন: গাড়ির বনেট খুলতেই বেরিয়ে এল অজগর সাপ, তারপর...

এর আগেও দৈত্যাকার একটি স্কুইডের দেখা পাওয়া গেছে ২০০৪ সাল নাগাদ জাপানে। এই প্রাণীর ক্ষেত্রে পুরুষের দৈর্ঘ্য স্ত্রী প্রাণীটির চেয়ে কম।

আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই সুইমিং পুলে নৌকাও চলে!

এরা সাধারণত গভীর সমুদ্রে বাস করে। সমুদ্রের যেখানে কখনও আলো পৌঁছায় না, সেখানেও এরা খুব ভালোভাবে শিকার করতে পারে। অমেরুদণ্ডী প্রাণীটির খাদ্য তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, বড় চিংড়ি এমনকি ছোট ছোট স্কুইডও। খাবার গ্রহণের সময় এদের মুখগহ্বর একটি বড় ছাঁকনির মতো কাজ করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন