যে ভাবে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ‘যৌন ক্রীতদাসী’দের। ইরাকে।
শুধু ধর্ষণ আর গণ-ধর্ষণেই শেষ নয়।
তার পরেও চলেছে অবর্ণনীয় অত্যাচার। নির্যাতন। বর্বরোচিত, নৃশংস।
‘কুমারীত্ব পরীক্ষা’র নামে!
তাতে ভয়ে কেউ অবসন্ন হয়ে পড়েছে। কাঁদতে কাঁদতে কারও শরীর হয়ে পড়েছে অবশ। কেউ কেউ অসম্ভব যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যেতে যেতে জ্ঞানও হারিয়ে ফেলেছে। তবু তাদের ওপর চালিয়ে যাওয়া হয়েছে অবর্ণনীয়, অকথ্য অত্যাচার, নির্যাতন। ‘কুমারীত্ব পরীক্ষা’র নৃশংস কলা-কৌশল।
একটা ঘটনা নয়। একের পর এক ঘটনা। যা হাজার হাজার কিশোরী ও মহিলাকে সহ্য করতে হয়েছে, হচ্ছে। আর তা মাত্র এক বার নয়। একাধিক বার। এর হাতে, ওর হাতে।
কারণ, ওই হতভাগ্য কিশোরী ও মহিলাদের বার বার এ-হাত থেকে অন্য হাতে যেতে হয়েছে, নৃশংস নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে, একাধিক বার কেনা-বেচার জাঁতাকলে পড়ে।
মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যান রাইট্স ওয়াচ’-এর শাখা ‘ওমেন রাইট্স ডিভিশন’-এর গবেষক রোথনা বেগম ও যুদ্ধকবলিত এলাকায় মহিলাদের ওপর নির্যাতনের ওপর নজর রাখা রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ দূত জাইনাব বাঙ্গুরার সদ্য প্রকাশিত একটি রিপোর্টে প্রকাশ্যে এসেছে ওই সব মর্মান্তিক ঘটনার কথা।
সেই রিপোর্ট জানাচ্ছে, ২০১৪-য় ইরাকে ঢুকে সে দেশের বেশ কয়েকটি শহর জোরজবরদস্তিতে দখল করে নেওয়ার পর উত্তর ইরাকের সংখ্যালঘু ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের কিশোরী ও মহিলাদের ওপর এই ভাবেই দিনের পর দিন অমানুষিক শারীরিক অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়েছে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিরা। তাদের নির্বিচারে বানানো হয়েছে যৌন ক্রীতদাসী। আর সেই ক্রীতদাসী শুধু কোনও এক জন আইএস জঙ্গির জন্য নয়, তাদের ক্রীতদাসী বানানো হয়েছে দলে দলে জঙ্গিদের যৌন-ক্ষুধা মেটানোর জন্য। তার জন্য তাদের খেলনার মতো ব্যবহার করা হয়েছে! কিছু দিন পর তৃপ্তি না-মিটলে, সেই সব ‘খেলনা’র হাত-বদল হয়েছে। বারে বারে তাদের কেনা-বেচা হয়েছে। নির্যাতিতাদের যেতে হয়েছে এ হাত থেকে অন্য হাতে, নির্বিচারে।
আর প্রতি বারই কেনা-বেচার সময়ে ‘কুমারীত্ব পরীক্ষা’র নামে তাদের ওপর চালানো হয়েছে নির্মম অত্যাচার। নির্মম শারীরিক অত্যাচার চালানোর পর তাদের গোপনাঙ্গে আঙুল ঢুকিয়ে করা হয়েছে ‘কুমারীত্ব পরীক্ষা’। তাতে তারা ভয়ে, যন্ত্রণায় অবশ ও অবসন্ন হয়ে পড়েছে, জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। তবু তার পরোয়া না করেই।