Taiwan Crisis

তাইওয়ান উপকূলে হঠাৎ হাজির হল অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডার যুদ্ধজাহাজ, সতর্কবার্তা দিল চিন

গত তিন বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে চিনের বিরুদ্ধে তাইওয়ানের আকাশ এবং জলসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক জনমতের তোয়াক্কা না করে বেজিং জানিয়েছে, তাইওয়ান তাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:৪৪
Share:

তাইওয়ান প্রণালীতে যুদ্ধজাহাজ। ছবি: রয়টার্স।

অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডার দু’টি যুদ্ধজাহাজ হঠাৎ তাইওয়ান উপকূলে হাজির হয়েছে বলে জানাল বেজিং। একদলীয় চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস শনিবার জানিয়েছে, বিদেশি যু্দ্ধজাহাজ দু’টির উপর সতর্ক নজরদারি চালাচ্ছে পিলল্‌স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)।

Advertisement

প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কানাডার ফ্রিগেট ভিল ডি কুইবেক এবং অস্ট্রেলিয়ার গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ব্রিসবেন শনিবার সকালে ১৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ তাইওয়ান প্রণালীর একাংশ অতিক্রম করেছে। এই প্রণালী চিনা ভূখণ্ড থেকে দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানকে পৃথক করেছে। চিনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি নেতৃত্ব বরাবরই তাইওয়ানকে তাঁদের দেশের অংশ বলে দাবি করেন।

২০২২ সালের অগস্টে চিনের আপত্তি খারিজ করে আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরেই নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। সে সময় থেকেই ধারাবাহিক ভাবে তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে শুরু করে চিনা যুদ্ধবিমান। চিন-তাইওয়ান সঙ্কটের আবহে সে সময় আমেরিকার সপ্তম নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকেছিল। পরে তারা সরে গেলেও গত তিন বছর ধরে চিনা যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ ধারাবাহিক ভাবে আকাশ এবং জলসীমা লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ তাইওয়ানের।

Advertisement

এর পর সাময়িক ভাবে উত্তেজনা প্রশমনের উদ্দেশ্যে দু’পক্ষ কিছুটা নমনীয় হলেও গত বছর তাইওয়ানের সাধারণ নির্বাচনে কট্টর চিন-বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি)-র জয়ের পর নতুন করে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৯৪৯ সালে কমিউনিস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে মাও জে দঙের নেতৃত্বে চিনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সমাজতান্ত্রিক সরকার। ওই সময়ে গৃহযুদ্ধে পরাজিত জাতীয়তাবাদী কুয়োমিনতাং দলের নেতা চিয়াং কাই শেক তাঁর অবশিষ্ট বাহিনী এবং অনুগামীদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রশান্ত মহাসাগরের ফরমোসা দ্বীপপুঞ্জে। বর্তমানে যা তাইওয়ান নামে পরিচিত। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু করে ফরমোসাকে একটি পৃথক দেশ হিসাবে গড়ে তুলেছিলেন চিয়াং। সরকারি ভাবে তার নামকরণ করা হয় ‘রিপাবলিক অফ চায়না’ বা আরওসি। কিন্তু চিন কখনও তাইওয়ানের ‘স্বাধীনতা’ স্বীকার করেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement