আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইলন মাস্ক। —ফাইল চিত্র।
নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করলেন স্পেসএক্স, টেসলার কর্ণধার মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। নাম দিলেন ‘আমেরিকা পার্টি’। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ‘বড় ও সুন্দর’ বিলে স্বাক্ষর করে তা আইনে পরিণত করার পরেই মাস্কের এই ঘোষণা। ট্রাম্পের ওই বিলের বিরোধিতা মাস্ক প্রথম থেকেই করে আসছিলেন। মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটে আগেই এই বিল পাশ হয়েছিল। সম্প্রতি তা নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজ়েন্টেটিভ্সেও পাশ হয়। ৪ জুলাই আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসের দিন কর ও খরচে কাটছাঁটের বিলে সই করে আইন হিসাবে তাকে স্বীকৃতি দেন ট্রাম্প। আর তার পরের দিনই নতুন দলের নাম ঘোষণা করলেন মাস্ক। জানিয়ে দিলেন, কবে কোন ভোটে তাঁর দল লড়বে।
আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়ে গিয়েছে ২০২৪ সালে। আবার চার বছর পরে ওই নির্বাচন হবে। তবে তার আগে ২০২৬ সালেই ভোট রয়েছে আমেরিকায়। এই ভোটকে ‘মিড-টার্ম ইলেকশন’ বলা হয়ে থাকে। দল ঘোষণার পর মাস্ককে সমাজমাধ্যমে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ২০২৬ না ২০২৮, কোন ভোটে তিনি নতুন দল নিয়ে লড়াই করতে চান? মাস্ক দুই শব্দে উত্তর দিয়েছেন। লিখেছেন, ‘‘নেক্সট ইয়ার (আগামী বছর)’’। অর্থাৎ, ২০২৮ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান না তিনি। ২০২৬ সালের ‘মিড-টার্ম ইলেকশন’-এই লড়বে মাস্কের ‘আমেরিকা পার্টি’।
১২০তম মার্কিন কংগ্রেস নির্ধারণ করতে ২০২৬ সালে ভোট হবে আমেরিকায়। এই নির্বাচনে হাউস অফ রিপ্রেজ়েন্টেটিভ্সের সমগ্র ৪৩৫ আসন এবং সেনেটের ১০০টির মধ্যে ৩৩টি আসনে লড়াই হবে। এ ছাড়া, বিভিন্ন প্রদেশে গভর্নর নির্বাচনও হবে ২০২৬ সালে। আমেরিকা পার্টি নিয়ে মাস্ক সেই ভোটে লড়ার কথা জানিয়েছেন।
নতুন দল ঘোষণার আগে সমাজমাধ্যমেই একটি ভোটাভুটির ব্যবস্থা করেছিলেন মাস্ক। আমেরিকার জনগণের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তাঁর নতুন দল গঠন করা উচিত কি না। লিখেছিলেন, ‘‘আপনারা এই দ্বিদলীয় ব্যবস্থা থেকে মুক্তি চান কি না, তা জিজ্ঞাসা করার সেরা সময় এই স্বাধীনতা দিবসই। আমাদের কি আমেরিকা পার্টি গঠন করা উচিত?’’ এর পর এই পোস্টটি শেয়ার করেই মাস্ক লেখেন, ‘‘আপনারা নতুন রাজনৈতিক দল চান, এবং সেটাই পাবেন। অপচয় এবং দুর্নীতির মাধ্যমে আমাদের দেশকে দেউলিয়া করে দেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা গণতন্ত্রে নয়, একদলীয় ব্যবস্থায় বাস করি। আজ আমেরিকা পার্টি গঠিত হল আপনাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।’’ ভোটাভুটিতে নতুন দলের পক্ষে ৬৫.৪ শতাংশ মানুষ সম্মতি জানিয়েছেন।