মায়ের খোঁজ পেতে ৯ খুদের ডিএনএ পরীক্ষা

বয়স তখন মাত্র কয়েক ঘণ্টা। হাতে পরিচয়চিহ্নটুকু পরানোর সুযোগ পাননি নার্সরা। এমন সময়ই বিস্ফোরণ মেক্সিকোর প্রসূতি হাসপাতালে। বৃহস্পতিবারের সে বিস্ফোরণের ধাক্কা সামলে ওঠার পর কেটে গিয়েছে দু’দিন। এর মধ্যে উদ্ধার হয়েছে ন’জন সদ্যোজাত। কিন্তু তার পরেও চিন্তা যাচ্ছিল না কর্তৃপক্ষের। ওই সদ্যোজাতদের মা-বাবার খোঁজ কী ভাবে মিলবে, ভেবে উঠতে পারছিলেন না তাঁরা। অবশেষে মিলল উপায়। শনিবার ওই ন’জনের ডিএনএ পরীক্ষা করা হল। কর্তৃপক্ষের আশা, ওই পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতেই এ বার খোঁজ মিলবে ওই সদ্যোজাতদের মা-বাবার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মেক্সিকো সিটি শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:৩৭
Share:

বয়স তখন মাত্র কয়েক ঘণ্টা। হাতে পরিচয়চিহ্নটুকু পরানোর সুযোগ পাননি নার্সরা। এমন সময়ই বিস্ফোরণ মেক্সিকোর প্রসূতি হাসপাতালে। বৃহস্পতিবারের সে বিস্ফোরণের ধাক্কা সামলে ওঠার পর কেটে গিয়েছে দু’দিন। এর মধ্যে উদ্ধার হয়েছে ন’জন সদ্যোজাত। কিন্তু তার পরেও চিন্তা যাচ্ছিল না কর্তৃপক্ষের। ওই সদ্যোজাতদের মা-বাবার খোঁজ কী ভাবে মিলবে, ভেবে উঠতে পারছিলেন না তাঁরা। অবশেষে মিলল উপায়। শনিবার ওই ন’জনের ডিএনএ পরীক্ষা করা হল। কর্তৃপক্ষের আশা, ওই পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতেই এ বার খোঁজ মিলবে ওই সদ্যোজাতদের মা-বাবার।

Advertisement

মেক্সিকো প্রশাসনের দাবি, ইতিমধ্যেই কয়েক জন দম্পতি তাঁদের সন্তানদের চিহ্নিত করতে পেরেছেন। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, এ সব ক্ষেত্রে শুধু মৌখিক দাবির ভিত্তিতে কোনও সদ্যোজাতকে ওই বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেওয়া যায় না। সে জন্য দরকার ছিল অকাট্য প্রমাণ। ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টই সেই প্রমাণের কাজ করবে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।

বৃহস্পতিবার মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটির কুয়াজিমালপা প্রসূতি হাসপাতালে আচমকাই বিস্ফোরণ হয়। প্রশাসনের দাবি, গ্যাস লিকের কারণেই এই বিস্ফোরণ হয়েছিল। এবং তা এতটাই জোরদার হয় যে তার জেরে লাল রঙের একটি আগুনের গোলা আকাশের দিকে উড়ে যেতে দেখেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। প্রাণ হারিয়েছেন এক নার্স। মৃত্যু হয়েছে দুই খুদেরও। আহত হয়েছেন অন্তত ৭০ জন।

Advertisement

অনেকে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পর অনেক মা-ই তাঁদের সন্তানদের আড়াল করে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত হাসপাতাল খালি করে দেওয়ায় অনেকেই বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে বেরোতে পারেননি। এমনই ন’জন সদ্যোজাতের হদিস পেয়েছিলেন উদ্ধারকর্মীরা।

নার্সদের দাবি, বিস্ফোরণের আকস্মিকতায় তাদের হাতে পরিচয়চিহ্নটুকু পরানোর সময় মেলেনি। আজকের ডিএনএ পরীক্ষার পর হয়তো সব অর্থেই বাবা-মার পরিচয় পাবে ওই নবজাতকেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন