পুজো আসতে আর হাতে গোনা দিনের অপেক্ষা। ধারাবাহিকের ব্যস্ততার ফাঁকেও সযত্নে নিজেদের পরিকল্পনা বুনছেন তারকারা। এই যেমন অনন্যা গুহ, পুজোর কোন জামাটা কোন দিনের জন্য তোলা থাকবে, তা পুজোর মুখেই ঠিক করে ফেলেন অভিনেত্রী। আনন্দবাজার ডট কমকে হাসতে হাসতে তিনি বলেন, “এটা আমাদের পরিবারের ‘প্রথা’ বলা যেতে পারে। সকলে একসঙ্গে বসে ঠিক করি পুজোয় কে কোন জামাটা কোন দিন পরবে। এখন সেই দলে যুক্ত হয়েছে সুকান্ত-ও (সুকান্ত কুণ্ডু)।” তা কত দূর এগোল কেনাকাটা? অনন্যা বলেন, “এখন তো গড়িয়াহাট অথবা এসপ্ল্যানেড থেকে নিজে গিয়ে খুব একটা কেনাকাটা করা হয়ে উঠছে না। তাও চেষ্টা করছি যতটা ব্যস্ততার ফাঁকে নতুন জামা, শাড়ি কেনা যায়।”
আরও পড়ুন:
এই বছরই মনের মানুষ সুকান্তের সঙ্গে আংটি বদল সেরেছেন অনন্যা। জীবনের নতুন অধ্যায়ে পা অভিনেত্রীর। চলতি বছরের পুজোটা কি একটু বেশিই ‘বিশেষ’ বলা চলে? অনন্যার কথায়, “আমাদের কাছে পুজোটা আসলে প্রতি বছরই বিশেষ। তবে দুর্ভাগ্যবশত সেই সময়ে সুকান্ত মালদায় থাকে। আর আমি কল্যাণীতে। কাজেই একসঙ্গে পুজো কাটানো খুব একটা হয় না। তাও মহালয়া থেকে ষষ্ঠী ও সপ্তমী পর্যন্ত একটু সময় পাই।”
কিন্তু কল্যাণী কেন? আসলে পুজোর মরসুমে মহানগরীর আমেজ যতটাই মন জয় করা হোক না কেন প্রতি বছর অনন্যার মন কাড়ে কল্যাণীতে তাঁর নিজের বাড়ির দুর্গাপুজো-ই। অভিনেত্রীর দাদুর হাত ধরেই শুরু হওয়া এই পুজোর বয়স বর্তমানে ৬০ বছর। তিনি বলেন, “ছোটবেলা থেকেই পুজো কাটাই কল্যাণীতে। এমন একটা বছরও যায়নি যে কল্যাণীর পুজো দেখিনি। গোটা পুজোটাই ওখানে কাটাই। এমন নয় যে এ দিক, ও দিক ঘুরতে যাই। সারাটা দিন বাড়ির পুজোতেই মগ্ন থাকি।” অভিনেত্রী জানান, এই বছরটাও ব্যতিক্রম নয়। এ বারেও পুজোয় তাঁর গন্তব্য কল্যাণী।
কতদূর এগোল বাড়ির পুজোর প্রস্তুতি? অনন্যা বলেন, “এই তো দেখে এলাম প্যান্ডেলের কাজ শেষ হয়েই এসেছে প্রায়। যখন কল্যাণীতে যাব, তখন হইহই করে প্রতিমাকে বাড়িতে বরণ করা হবে।”
অভিনেত্রীর স্মৃতির পাতা জুড়েও রয়েছে ছোটবেলায় সেখানে কাটানো দুর্গাপুজোর দিনগুলি। তিনি বলেন, “তখন তো অনেক ছোট। বাবার কোলে কোলে ঘুরে বেড়াতাম। আর আমার বন্ধুরা আমাকে ভয় দেখানোর জন্য ক্যাপ-বন্দুক ফাটাত।”
পুজোর মুখে এমনিতেই ধারাবাহিকের কাজ তুঙ্গে। সেই সঙ্গে অন্যান্য প্রজেক্ট। কতটা ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কাটছে অনন্যার সময়? তিনি বলেন, “ব্যস্ততা তো রয়েছেই। তবে পুজোর সময়টা মজা করার জন্য এই খাটনিটা মেনে নেওয়াই যায়। পুজোর দিনে কাজ করতে একদম ভালবাসি না। ষষ্ঠী পর্যন্ত কাজ করে নিলেও মনে হয় অনেক করে ফেলেছি!” তবুও দেবীর থেকে অনন্যার একটাই চাওয়া, “যেন প্রচুর ভাল কাজ করে যেতে পারি…”
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।