সারা বছরই ব্যস্ততা। তবে টেলিভিশনের তারকাদের ক্ষেত্রে এই ব্যস্ততার পারদ যেন পুজোর আগে একটু বেশিই চড়ে। কিন্তু তাতে কী? শ্যুটিং থাকলেও কেনাকাটা মাস্ট! পুজোর আগে এটাই মূলমন্ত্র অর্কজা আচার্যর। আনন্দবাজার ডট কমকে অভিনেত্রী বলেন, “আমার কেনাকাটা একদম শেষ! এমনিতে সেটা তো চলতে থাকেই সারা বছর। তবে মাকে নিয়ে বেরিয়েছিলাম এর মধ্যেই। কিন্তু আমারটা আমি শ্যুটিংয়ের ফাঁকেই সেরে ফেলেছি।”
এই মুহূর্তে জি বাংলার ‘আনন্দী’ ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে অর্কজাকে। জোরকদমে চলছে শ্যুটিং। পুজোর ছুটির আগে যতটা কাজ গুছিয়ে নেওয়া যায়। কতটা ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কাটছে অভিনেত্রীর সময়? তিনি বলেন, “এখন তো ১৪ ঘণ্টা শ্যুটিং চলছে। যদিও পুজোয় কিছু দিন ছুটি পাব। তাই এখনের পরিশ্রমটা গায়ে লাগছে না।”
বরাবরই পাহাড়ে ঘুরতে ভালবাসেন তিনি। পুজোয় এ বারেও অর্কজার গন্তব্য কি পাহাড়? অভিনেত্রী বলেন, “নর্থ বেঙ্গল যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। তবে শান্তিনিকেতনে যেতে পারি।” যদিও কলকাতার মায়া ছাড়তেও নারাজ তিনি। অর্কজা বলেন, “কলকাতার পুজো ছেড়ে অন্য কোথাও গেলে মনটা খুঁতখুঁত করে। এমনিতে বেড়াতে খুব ভালবাসি। কিন্তু কলকাতার পুজোকে ঘিরেও একটা মায়া জন্মে গিয়েছে।”
ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘ দিনের পরিচিত মুখ অর্কজা। পুজোর সময়ে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে? নায়িকার কথায়, “আমাদের পুজোর শুরুটা মহালয়া থেকে হতো না। তখন চার দিনই পুজো ছিল। এখন তো মহালয়া থেকেই রাস্তায় ভিড় জমে যায়। দম বন্ধ করা পরিস্থিতিটা আমি আমার ছোটবেলায় পাইনি। পুজোর সময়ে নিজের পরিবার আর বন্ধুদের সঙ্গে পাড়ার মোড়ে আড্ডা দিয়েই কেটেছে ছেলেবেলাটা।” এখনও সেই নিয়মে বিশেষ বদল না এলেও, যুক্ত হয়েছে পুজো মণ্ডপে দর্শকদের নিজস্বী তোলার আবদার। যদিও তা বেশ উপভোগই করেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, “এটা তো উপরি পাওনা। চারটে লোক আমাকে চিনছেন, এটাই যথেষ্ট। তবে এত কিছুর মধ্যেও আমার খুব মনে পড়ে দিদির কথা। আমার গোটা ছোটবেলার সঙ্গী। এখন ও বাইরে থাকে।”
পুজোর মরসুমে প্রেমের হাওয়া বাঙালিদের কাছে অপরিচিত নয়। অর্কজার কি মনে পড়ে পুজোর প্রেমের কথা? হাসতে হাসতে তিনি বলেন, “পুজোর প্রেমগুলি পুজোতেই শেষ। অঞ্জলি দিতে গিয়ে হঠাৎ করে ফুলের সঙ্গে একটা চিঠি এসে পড়ল! ছোটবেলায় এই সব হত। এখন আর হয় না।” দেবী দুর্গার আগমনে আর হাতে গোনা কয়েক দিন বাকি। এ বারে অভিনেত্রী কী চাইবেন তাঁর থেকে? “সবাই যেন সুস্থ থাকেন, ভাল থাকেন। চারিদিক থেকে এত বাজে খবর আসছে। এই অন্ধকার কেটে গিয়ে আলো আসুক। অতিমারির মতো সময় আর যেন না ফিরে আসে। আর ব্যক্তিগত ভাবে চাইব আরও ভাল ভাল কাজ যেন করতে পারি।”
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।