পরিমিত সাজেই নববধূর রেশ। পরনে লাল পাড় ঘিয়ে রঙা শাড়ি। দুই হাত রাঙা সিঁদুরে। ধীরে ধীরে দেবীর বরণ সারলেন। সিঁদুর ছুঁইয়ে নিলেন কপালে। স্বামী অভিষেক বসু রাঙালেন দুই গাল। বিয়ের পর এই প্রথম দেবীবরণ অভিনেত্রী শার্লি মোদকের।
অবশ্য মাতৃবরণ তো করেছেন এর আগেও। কিন্তু বিদায় বেলায় নিজের হাতে দেবীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেওয়ার অভিজ্ঞতা এই প্রথম। কেমন সেই অনুভূতি? আনন্দবাজার ডট কমকে অভিনেত্রী বলেন, “একে বারে অন্য রকম আবেগ। আমার মা আমাকে শিখিয়ে-পড়িয়ে নিচ্ছিলেন। আমিও সেই ভাবেই সবকিছু করছিলাম। অভিষেক ছিল সর্ব ক্ষণ। সবটা মিলিয়ে অদ্ভুত আনন্দ হয়েছে। আমি ঠিক ভাষায় ব্যাখ্যা করতে পারব না। মা দুর্গা চলে যাওয়ার একটা কষ্ট, তার সঙ্গে এমন একটা অভিজ্ঞতা- গতকাল একটা মিশ্র অনুভূতি কাজ করেছে সারাটা দিন।”
পুজো তো শেষ। এ বার কাজে ফেরার পালা। একটু কি মুখ ভার শার্লির? অভিনেত্রীর কাছে এই প্রশ্ন অর্থহীন। কারণ তিনি এখনও উৎসবের মেজাজে। আপাতত নায়িকার গন্তব্য পাহাড়। তিনি বলেন, “একটু মন খারাপ তো আছেই। এত দিন নিজের বাড়িতে ছিলাম। আমার বাড়ির খুব কাছে পাহাড়। এখন একটু সে দিকেই যাচ্ছি। তাই এখনও পুজো শেষ হওয়ার অনুভূতিটা ঠিক আসছে না। কলকাতায় ফিরিনি, শ্যুটিং ফ্লোরে ফিরিনি। কেবল ঘুরছি, ফিরছি আর আনন্দ করছি। মায়ের হাতের রান্না খাচ্ছি। মনে হচ্ছে আমার পুজো এখনও চলছে।” তবে ফাঁকা প্যান্ডেল দেখলে মন তো কাঁদবেই। সেই দিক থেকে শার্লিরও একই অবস্থা।
আরও পড়ুন:
এই মুহুর্তে পুরোদস্তুর ছুটির মেজাজেই আছেন নায়িকা। আপাতত কিছু দিন সেই ভাবেই কাটিয়ে একে বারে লক্ষ্মী পুজোর পরই ‘তুই আমার হিরো’র সেটে ফিরতে চলেছেন শার্লি।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।