প্রেজেন্টস্
Knowledge Partner
Fashion Partner
Wedding Partner
Banking Partner
Comfort Partner

পুজো মানে ‘নিজের কাছে ফিরে আসা’! বয়সের সঙ্গে দায়িত্ব কতটা বেড়েছে শ্যামৌপ্তির?

সদ্যই মুক্তি পেয়েছে শ্যামৌপ্তির নতুন মিউজ়িক ভিডিয়ো, ‘দুগ্‌গা মায়ের জয়’। সব কিছু সামলে কতদূর এগোল অভিনেত্রীর পুজোর পরিকল্পনা?

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:৩৪
প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

ধারাবাহিক শেষ হয়েছে বহুদিন। এই মুহুর্তে সাময়িক বিরতিতে রয়েছেন অভিনেত্রী শ্যামৌপ্তি মুদলি। মন দিয়েছেন ব্যবসায়। যদিও তাতে ব্যস্ততা কমেনি একচুলও। সদ্যই মুক্তি পেয়েছে নতুন মিউজ়িক ভিডিয়ো, ‘দুগ্‌গা মায়ের জয়’। সব কিছু সামলে কতদূর এগোল অভিনেত্রীর পুজোর পরিকল্পনা?

আনন্দবাজার ডট কমকে অভিনেত্রী জানান, বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর কাছে বদলেছে ‘পুজো প্রস্তুতি’র সংজ্ঞা। শ্যামৌপ্তি বলেন, “ছোটবেলায় পুজো আসার এক মাস আগে থেকে সপ্তম স্বর্গে থাকতাম। তখন ক’টা জামা হল, সেটা গুনে গুনে সরিয়ে রাখতাম। এখন কেনাকাটা নিয়ে খুব বেশ উৎসাহ জাগে না। এখন পুজো মানে দায়িত্ব। পুজোতে অনেক কাজ থাকে, সেই সব গুছিয়ে নিয়ে কতটা সময় দিতে পারব পরিবারকে, সেই সব কিছুই মাথায় ঘোরে। আমার কাছে পুজো মানে কোথাও গিয়ে নিজের কাছেই ফিরে আসা।”

পুজোর আমেজ ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে শহরে। তবুও শ্যামৌপ্তির মতে, কানে মহালয়ার সুর ভেসে না আসা পর্যন্ত মনেই হয় না পুজো শুরু হয়েছে। সঙ্গে অভিনেত্রী মজা করে বলেন, “যখন দেখি আমাকে বেশি বাঁধাধরা ডায়েট মানতে হচ্ছে না, নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে হচ্ছে না, তখন বুঝি পুজো চলেই এল।” পুজোর মুখে কাজের ব্যস্ততা কতটা উপভোগ করছেন অভিনেত্রী? তিনি বলেন, “আমি কাজ করতে সব সময়তেই ভালবাসি। ধারাবাহিকের সময়ে নিত্যদিনের রুটিনটা অন্য রকম ছিল। তখন তো পুজোর আগে ভাগে কাজ গুছিয়ে রাখার ব্যস্ততা। এখন আবার সাক্ষাৎকার, মিউজ়িক ভিডিয়ো, ব্র্যান্ডের কাজ নিয়েই সময়টা কেটে যাচ্ছে।”

কাজ থেকে তো ছুটি নেই অভিনেত্রীর, ডায়েট থেকেও কি নেই? শ্যামৌপ্তি বলেন, “আমি বছরভর সব ধরনের খাবারই খাই। কিন্তু পরিমাণ বুঝে। কিন্তু পুজোর এই ক’টা দিন কিছু মাথায় থাকে না। তখন মুচমুচে তেলে ভাজা, চাউমিন, প্যান্ডেলের পাশে এগরোল-সবই চলে। এই সবের জন্যেই তো সারা বছর কষ্ট করা।” এই বছর অভিনেত্রীর ইচ্ছে গ্রামের পুজো ঘুরে দেখা। নবমী-দশমী থেকে তাঁর ঠিকানা নিজের আদিবাড়ি খড়গপুর। শ্যামৌপ্তি বলেন, “ও খানে আমার বড় হওয়া নয়, কিন্তু আমার বাবার আদিবাড়ি আছে। সে খানে প্রতি বছর পালা করে দুর্গাপুজো হয়। এ বারে যদিও আমাদের পালা নেই। তবে আমার ইচ্ছে আছে তাও সে খান কার পুজোটা ঘুরে দেখার। অষ্টমী পর্যন্ত কলকাতাতেই আছি।”

ঝুলিতে ‘ধ্রুবতারা’, ‘বাজল তোমার আলোর বেণু’, ‘অমরসঙ্গী’র মতো ধারাবাহিক। ‘গুড্ডি’ ধারাবাহিকের হাত ধরে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে শ্যামৌপ্তি। পর্দায় ফের কবে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে? এক গাল হেসে অভিনেত্রী বলেন, “অনেক রকম কাজেরই তো কথা হয়। কিন্তু বাস্তবায়িত হয় কটা? দুই দিক থেকে সব কিছু ঠিকঠাক হলে তবে কাজটা ফ্লোরে নামবে। এরম অনেক কাজেরই কথা চলছে। তবে আমি একটু মনের মতো চরিত্রের সন্ধানে রয়েছি। আর আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান-ও মনে করি যে কাজ নির্বাচন করার মতো স্বাধীনতাটা রয়েছে আমার।”

দেবীর থেকে কী চাইবেন এই বছর? অভিনেত্রীর সহজ জবাব, “আমি ঠিক চাইতে পারি না। বলি, ভাল রেখো এবং ভাল থেকো। মানুষ যেন মনের দিক থেকেও সুস্থ থাকে। একটু বোধ বুদ্ধি যেন বাড়ে।”

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

Shyamoupti Mudly
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy