আগমনীর সুর ভেসে আসার আগেই শুরু পুজোর সাজ ‘পার্বণ’। তবে ‘ইন্দো-ওয়েস্টার্ন’, ‘এথনিক’-এর ভিড়েও লহমা ভট্টাচার্যের প্রথম পছন্দ শাড়ি। কিন্তু তার সঙ্গেই যদি স্টাইল করা যায় গোলাপি, নীলের মিশেলে এক ‘ফাঙ্কি’ কেশসজ্জা, তা হলে কেমন হয়? আনন্দবাজার ডট কমের কাছে টিপ্স দিলেন অভিনেত্রী নিজেই।
অরিন্দম শীলের নতুন ছবি ‘কর্পূর’-এ লহমার চুলের সাজ বেশ নজর কেড়েছে তরুণ প্রজন্মের। লম্বা ঢেউ খেলানো চুলের সঙ্গে গোলাপি ও নীল রঙের হাইলাইট। হাসতে হাসতে অভিনেত্রী বলেন, “আমার পুজোর সাজ তো মনে হয় এই ‘কর্পূর’ থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আমি নিজেকে কোনও দিন ওই রকম চুলে কল্পনাও করিনি। তবে আমি দেখেছি ওই চুলের রংটা বেশ পছন্দ হয়েছে সকলের। আমাকে অনেকে লিখেও জানিয়েছে যে তারা একই রকম রং করেছে চুলে। আর কেউ কেউ তো আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সেই সাজ ধরেও রেখেছে।”
এমন চুল যদি এই বছরের পুজোর ফ্যাশন তালিকায় থাকে তবে এর সঙ্গে মানানসই কোন সাজকে এগিয়ে রাখবেন লহমা? কী ভাবেই বা সামলাবেন এরম ‘বোল্ড’ লুক? নায়িকা বলেন, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল, আত্মবিশ্বাস।” এ ক্ষেত্রে অভিনেত্রীর স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কেই নিজের অনুপ্রেরণা মনে করেন নায়িকা। তিনি বলেন, “যে কোনও সাজেই নিজেকে যে ভাবে তিনি সামলান, তার জন্য অন্য মাত্রায় আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজন হয়। চুলে এমন একটু ‘ফাঙ্কি’ স্টাইল করলে ভালই লাগে। তার জন্য শ্যাম্পু করে মাথার ত্বকের জন্য উপযুক্ত কোনও কন্ডিশনার লাগিয়ে নিলে চুলটা দারুণ দেখায়। আর এর সঙ্গে কোনও সাজের বিশেষ দরকারও পড়ে না। সাদা শার্ট ও জিন্সের সঙ্গে কিছু না সাজলেও ওই চুলই নজর কাড়বে সকলের।” তিনি আরও বলেন, “কেউ চাইলে শাড়িও পরতে পারে। অথবা ওয়েস্টার্নও দারুণ মানাবে। এ ক্ষেত্রে চুলটাকে সামান্য ‘কার্ল’ করে একটা খোঁপা, ব্যস! তাতেই সাজ সম্পূর্ণ।” অভিনেত্রীর বিশেষ ‘টিপ্স’- “সাজটা যেমনই হোক না কেন, ব্যক্তিত্বটাই আসল। কারণ ওটাই একমাত্র জিনিস, যেটা বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না। ‘বিন্দাস’ একটা হাবভাব থাকুক সর্ব ক্ষণ।”
'কর্পূর'-এর লুকে লহমা ভট্টাচার্য
অভিনেত্রীর কাছে পুজোর সাজ মানেই তো শাড়ি। তবে এর মধ্যেও লহমার পছন্দ, “প্রতিটা মেয়ের কাছেই তো প্রথম শাড়ি তার মায়ের থেকেই আসে। তবে আমার ব্যক্তিগত ভাবে খুব ভাল লাগে চিকনকারি, জর্জেট অথবা শিফনের শাড়ি। মায়ের আবার সিল্ক খুব পছন্দের। মায়ের শাড়ি পরলে ব্রোকেট দেওয়া সিল্কের শাড়িগুলিকেই বেছে নিই। আবার অনেক শাড়ির পাড়ে পুরনো দিনের ধাঁচে কাজ করা থাকে। যত বড় হচ্ছি, এগুলি নিয়ে একটু বেশি নির্বাচনী হয়ে উঠছি।”
আরও পড়ুন:
এ তো গেল ‘সাজ’কাহন, পুজোয় অভিনেত্রীর পরিকল্পনা কেমন? লহমা বলেন, “মা, মাসি, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের থেকে নতুন জামা, শাড়ি আসতে শুরু করেছে। একটা দারুণ হলুদ শাড়ি পেয়েছি। পাশাপাশি টুকটাক কাজ তো চলতেই থাকে। একটু শহরের বাইরে বেরোনোরও আছে। তবে মহালয়ার আগেই আবার ফিরে আসব। গত বছর কাজের চাপে পুজোয় ঘুরে প্যান্ডেল দেখাটা ঠিক হয়ে ওঠেনি। এ বারে সেই সাধ পুরো করব।” সামনেই তো ছবিমুক্তি। যদিও তারিখ চূড়ান্ত না হলেও ‘কর্পূর’ ছবির জন্য বেশ উৎসাহী নায়িকা। তার আগে দেবীর থেকে কী চেয়ে নেবেন তিনি? লহমা বলেন, “আশা করছি কিছু মাসের মধ্যেই ছবিটা যেন ভাল ভাবে সকলের কাছে পৌঁছে যায়। সবার যেন ভাল লাগে। পাশাপাশি আরও ভাল ভাল কাজ যেন করতে পারি। আমার তেমন ‘উইশলিস্ট’ নেই, সবাই সুস্থ থাকুক, ‘মা’-এর থেকে এটাই চাওয়া।”
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।