সামনেই পুজো। আর পুজোর মাস পেরোলেই টলিউডে হাতেখড়ি! প্রথম ছবি মুক্তি পাবে হিয়া চট্টোপাধ্যায়ের। খানিকটা চিন্তা আর অনেকটা উত্তেজনা। সব কিছু মনের মধ্যে দমিয়ে রেখেই আপাতত চলছে ‘মন মানে না’ ছবির ডাবিং পর্ব। পুজোর মুখে এই সময়টা কেমন কাটছে শাশ্বত-কন্যার?
আনন্দবাজার ডট কমকে নবাগত অভিনেত্রী বলেন, “বছরের এটাই সবচেয়ে প্রিয় সময়। চারিদিকে পুজো পুজো গন্ধ। একটা উত্তেজনা তো রয়েছেই। তার উপর পুজো শেষ হওয়ার ঠিক কয়েক দিন পরেই আমার প্রথম ছবি মুক্তি পাবে। নিজেদের শ্যুটিং হওয়া দৃশ্যগুলিও পরখ করে নিচ্ছি। একটু চিন্তা হচ্ছে। কিন্তু বেশ অন্য রকম অনুভূতি পাচ্ছি।”
আরও পড়ুন:
পুজোর আগে এই ব্যস্ততাটা কতটা উপভোগ করছেন তিনি? হিয়ার সহজ জবাব, “এই ব্যস্ততাটা ভালই লাগে। পুজোর আগে কেনাকাটার পাশাপাশি প্রথম ছবির ডাবিং সারছি। এই বারের পুজোটা আমার কাছে একে বারেই আলাদা।”
খুব অল্প বয়স থেকেই লাইট, ক্যামেরা আর অ্যাকশনের সঙ্গে তাঁর আলাপ। আর এখন নিজেই অভিনেত্রীর ভূমিকায়। কতটা বদলাল হিয়ার জীবন? যদিও তিনি জানান, কাজের জগতে পা দিলেও ছোটবেলার পুজোর নির্যাসটা একই থেকে গিয়েছে। অভিনেত্রী বলেন, “আমি যে স্বপ্নটা দেখেছিলাম, সেটা পূর্ণতা পাচ্ছে। অবশ্যই ভাল লাগছে। সঙ্গে একটু ভয়, একটু চাপা উত্তেজনা কাজ করছে। তবে আমি কিন্তু এখনও ছোটবেলার মতোই পুজোয় ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখি। ওটা একটা নিয়ম! সেই সময়ে মায়ের হাত ধরে ঘুরতাম। এখন তার সঙ্গে নতুন সংযোজন, আমার বন্ধুরাও।”
বাবা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, দাদু শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, এত তাবড় তাবড় শিল্পীদের মধ্যে বড় হয়ে ওঠা। আর পাঁচটা মানুষের থেকে কি ছোটবেলার পুজোটা একটু হলেও আলাদা কেটেছে বলে মনে হয় হিয়ার? অভিনেত্রীর কথায়, “একে বারেই নয়। তখন মা আর দিদার সঙ্গে এক দিন উত্তর কলকাতা, এক দিন দক্ষিণ কলকাতা ঘুরতে যেতাম। প্যান্ডেল দর্শনের সঙ্গে চলত দেদার ফুচকা খাওয়া। একটু বড় হতেই বন্ধুরা সঙ্গী হল। আমার মনে হয় না, সেই সব কোনও অংশে বদলেছে।”
আরও পড়ুন:
এ বারে কী পরিকল্পনা বাবা-মায়ের সঙ্গে? হিয়া বলেন, “এখন তো তিনজনেই কর্মরত। আমি সদ্য কাজ শুরু করেছি। তাই পুজোর সময়টা সবাই বাড়িতেই থাকব। এই পাঁচ দিন কাছের মানুষদের সঙ্গে কাটাতেই ভাল লাগে। এ বারেও আমরা অনেক প্যান্ডেল ঘুরে দেখব। পুজো দেব। জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া করব। আর প্রচুর ভাল ভাল ছবি দেখব।”
আগামী ১৪ নভেম্বর মুক্তি পাচ্ছে রাহুল মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় হিয়ার ছবি ‘মন মানে না’। কতটা আশাবাদী অভিনেত্রী? তিনি বলেন, “এটা ভালবাসার ছবি। আর আমরাও অনেক ভালবাসা দিয়ে ছবিটা বানিয়েছি। আমার একটু চিন্তা আছে বটে, কিন্তু ছবির গোটা টিম থেকে শুরু করে আমার বাড়ির সকলেই খুব উত্তেজিত। বাবা তো বলেই দিয়েছ আগে ছবিটা দেখবে, তার পর প্রতিক্রিয়া জানাবে।”
এই বছর কী চাইবেন দেবীর থেকে? হিয়ার কথায়, “মায়ের থেকে আর আলাদা করে কী-ই বা চাইব? তিনি না চাইতেই অনেক কিছু দিয়েছেন। সবাইকে আগলে রাখুক, সুস্থ রাখুক। ব্যস, এটাই চাওয়া…”
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।