প্রেজেন্টস্
Knowledge Partner
Fashion Partner
Wedding Partner
Banking Partner
Comfort Partner

‘মাথায় মনে হয় মুরগি লেখা আছে’, পুজোর কেনাকাটার প্রসঙ্গ উঠতেই কেন এমন বললেন ‘লাফটারসেন’?

গোটা বছর ব্যস্ততায় কাটলেও পুজোর ক’দিন নিরঞ্জন পরিবারের সঙ্গেই কাটান। এ বার কী পরিকল্পনা তাঁর?

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:৫০
সংগৃহিত চিত্র

সংগৃহিত চিত্র

‘বাবেশ’ ডাক তাঁর জন্যই জনপ্রিয় হয়েছিল। বাংলা কন্টেন্ট নির্মাণের দুনিয়ায় ‘লাফটারসেন’ অতি জনপ্রিয় নাম। সদ্যই ‘লাফটারসেন’ ওরফে নিরঞ্জন মন্ডল বাংলা বিনোদন জগতেও পা রেখেছেন। সবটা মিলিয়ে দারুণ ব্যস্ত তিনি। তার মাঝেও কি পুজোর পরিকল্পনা হল? আনন্দবাজার ডট কমকে কী জানালেন?

গোটা বছর দারুণ ব্যস্ততায় কাটার দরুন পরিবারকে সেই অর্থে সময় দিয়ে উঠতে পারেন না, তাই পুজোর ক’দিন তাঁদের জন্যই রাখেন বলে জানালেন নিরঞ্জন। বললেন, “গত ৩-৪ বছর ধরে আমার পুজো একটু অন্য রকম কাটছে। ছোটবেলায় বন্ধুদের সঙ্গে বেরতাম, ঠাকুর দেখতাম। এখন এই সময়টা বাড়িতেই থাকি, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাই। যেহেতু আমি খুব কম সময় পাই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর, আর পুজোতে টানা ক’দিন ছুটিও থাকে, তাই এই সময়টা বাড়িতে বেশি সময় দেওয়ার, পরিবারের সঙ্গে কাটানোর চেষ্টা করি।” আর ঠাকুর দেখা হয়? নাকি বাড়ি বসে আড্ডা চলে? এই বিষয়ে তিনি জানালেন দু’টোই হয়ে থাকে। তবে ভিড় এড়াতে তৃতীয়া থেকে পঞ্চমীর মধ্যে ঠাকুর দেখে নেন। তা ছাড়া এই সময় বাড়ি বসে আড্ডা তো হতেই থাকে প্রতি দিন, মত নিরঞ্জনের।

পুজো মানেই চাই নতুন জামা, তার জন্য ব্যস্ততার ফাঁকে কি কেনাকাটা হল? ‘লাফটারসেন’ জানালেন গোটা বছর কেনাকাটা করার ফলে পুজোর শপিংয়ের বিশেষত্ব হারিয়েছে। তাঁর কথায়, “না, কেনাকাটা এখনও পর্যন্ত হয়নি। পুজোর জন্য আলাদা করে কেনাকাটা করার আর তেমন উৎসাহ পাই না সত্যি বলতে। সারা বছর টুকটাক করে কিছু না কিছু কিনতেই থাকি, ফলে পুজোর সময় আর বিষয়টা আগের মতো বিশেষ থাকে না।” কেনাকাটা না করলেও এই ক’দিন কেমন পোশাক পরতে পছন্দ করেন তিনি? এই বিষয়ে তাঁর সাফ জবাব, “যা পরে আমি স্বচ্ছন্দ, সেটাই আমার পছন্দের পোশাক। খালি সেটাকে একটু দেখতে ঠিকঠাক হলেই হল।”

কেনাকাটার প্রসঙ্গ ওঠায়, উঠে আসে কোথা থেকে শপিং করেন সেই প্রসঙ্গ-ও। আর তখনই হাসতে হাসতে ‘লাফটারসেন’ ফাঁস করলেন কেন অনলাইন কেনাকাটাই তাঁর একমাত্র ভরসা! বললেন, “অনলাইন শপিংই পছন্দ করি। আসলে দু’টো মূল সমস্যা আছে, এক হচ্ছে অত হাঁটতে আমি পারছি না, আর দ্বিতীয় হচ্ছে আমার মাথায় মনে হয় ‘মুরগি’ লেখা আছে, আমি একদম দরদাম করতে পারি না। আমাকে পঞ্চাশ টাকার জিনিস হেসে খেলে পাঁচশ টাকায় গছিয়ে দেওয়া যেতে পারে। তাই আমার বাড়ির লোকজনও আমায় বলে যে, ‘না না তোকে গিয়ে কিছু কিনতে হবে না, তুই অনলাইনেই কেন’।”

কেনাকাটা, পুজোর পরিকল্পনা তো হল। আর পুজোর প্রেম? অঞ্জলির ফাঁকে কোনও বিশেষ মুহূর্ত কিছু ঘটেছে নাকি কখনও? নিরঞ্জন জানালেন, “অল্প সময়ের জন্য প্রেম হয়েছে। কিন্তু কখনও ষষ্ঠীতে শুরু হয়ে দশমীতে শেষ এমন প্রেম হয়নি। আর অঞ্জলির ফাঁকে চোখাচোখি বা কিছু, ওসব রিল জীবনেই হয়েছে, বাস্তবে না।” বলেই হেসে ফেলেন তিনি।

বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সকলের কাছেই কম-বেশি পুজোর অর্থ, উন্মাদনা বদলাতে থাকে। হারিয়ে যায় সেই সারল্য মাখা, আনন্দ-উজ্জ্বল ছোটবেলার পুজোর দিনগুলি। আজ এই নাম-খ্যাতি, ব্যস্ততার মাঝে পিছু ফিরে তাকালে ছোটবেলার পুজোর কোন জিনিসটা সব থেকে বেশি মিস্ করেন নিরঞ্জন? প্রশ্ন শুনেই তিনি জানালেন, “আমাদের পরিবার খুবই ছোট, মা, বাবা আর আমি। আর পাশেই পিসিরা থাকেন। ওদের পরিবারও ছোট, পিসি, পিসাই আর আমার দুই দিদি। তাই পুজোর ক’দিন আমাদের এই দুই পরিবার হয় আমাদের বাড়িতে, নইলে ওদের বাড়িতে এক সঙ্গে থাকা হতো। ওটা আমার কাছে খুব বিশেষ ছিল কারণ মনে হত আমার পরিবারটা বড় হয়ে গিয়েছে। খুব মিস্ করি ওই দিনগুলি। সারা জীবন আমার কাছে স্মৃতি হিসেবে থেকে যাবে, আর ফেরত আসবে না কখনও ওই দিনগুলি।”

পরিশেষে এ বার দেবীর কাছে কী প্রার্থনা থাকবে সেটা জানিয়ে লাফটারসেন বলেন, “আমি ঈশ্বরের কাছে যখনই কিছু চাই, এটাই বলি যে ‘সবাইকে তুমি ভাল রেখো’। আর আমার জন্য কোনটা ঠিক, কোনটা চাই সেটা ভগবান জানে, তাই বলি ‘আমার জন্য যেটা ভাল মনে হবে, সেটাই করো তুমি’।’’

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

Niranjan Mondal Laughtersane Celebrity Puja Planning
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy