দুর্গাপুজোতে সাধারণত কলকাতায় থাকি। বাইরে খুব একটা যাই না। কলকাতার পুজো, পাড়া, বন্ধুরা...এটাই ভাল লাগে আমার।
এই বছরের পুজো আমার কাছে খুব স্পেশ্যাল। কারণ আমার মেয়ের এটা প্রথম পুজো। ওর নাম রেখেছি অবন্তিকা।
পুজোয় কলকাতায় থাকি বটে, কিন্তু ভিড়ের মধ্যে যাই না। ঠাকুর দেখার অত এনার্জি থাকে না। এ বারও তার ব্যতিক্রম হবে না। আমাদের কমপ্লেক্সের পুজোটা দেখব। শ্বশুরবাড়ি যাব। মা-বাবার বাড়িতে যাব। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করব একদিন। আর বাইরের খাওয়া দাওয়া তো আছেই।
আরও পড়ুন, ‘রানি রাসমণি’ সেজে পুজোয় শো করব, নতুন জামা কখন পরব বলুন?
মেয়ে হওয়ার আগে আমি আর সৃজা মাঝরাতে গাড়ি নিয়ে বেরতাম। ঘুরে ঘুরে যে খুব ঠাকুর দেখতাম, এমন নয়। আগেই বললাম, ভিড়টা আমাদের কারও সহ্য হয় না। রাত দুটোর সময় মনে হয় সন্ধের ট্রাফিক। তখনও পুলিশ কাজ করছে। বহু লোক রাস্তা ক্রস করছে। সে সব অদ্ভুত এক্সপিরিয়েন্স।
আরও পড়ুন, পুজোর সময় দেখতে পাবেন প্যান্ডেলে ফুচকা খাচ্ছি: কৌশানী
আরও একটা জিনিস বাঙালিদের, মানে আমাদের রয়েছে। পুজো মানে নতুন জামা পরতে হবে। কিন্তু এটা আমার নেই। এখন অনলাইন শপিং হয়ে গিয়ে সারা বছরই কেনাকাটা হয়। ফলে নতুন জামা থাকেই। পুজো বলে আলাদা করে কিছু কিনি না। ধরুন, অষ্টমীর অঞ্জলির দিতে যাব। কুর্তা পাজামা পরলাম। এই আর কী...। কিন্তু মেয়ের প্রচুর জামা হয়েছে। আর ওর জন্য জিনিস কিনতে আমাদের ভাল লাগে। কোনও অকেশন লাগে না।
আরও পড়ুন, হ্যান্ডসাম ছেলে দেখার জন্য ম্যাডক্স স্কোয়ার যেতাম...
আমি একেবারেই ফ্যাশন কনসাস নই। বরং জিম নিয়ে পাগলামো আছে। পারলে পুজোর মধ্যেও জিম করি। কিন্তু সেটার অনেক সময়ই কোনও প্রয়োজন হয় না। কারণ বছরের ৩৬০ দিন লাইফস্টাইল ডিসিপ্লিনড হলে, এই পাঁচদিনে কোনও ডিফারেন্স হয় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy