ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
বাপরে বাপ, একটার পর একটা শট। খাওয়ার সময় পর্যন্ত পাচ্ছেন না। শুটের মধ্যেও চলছে দৌড়ঝাঁপ। তারই মধ্যে আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে গল্প করলেন তিনি। বকুল থুড়ি, উষসী রায়। শুধুমাত্র ইনস্টাগ্রামেই যাঁর ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় এক লক্ষ ২৫ হাজার ছাড়িয় গিয়েছে।
এবার পুজোয় কী করবেন উষসী?
‘‘পুজোয় অষ্টমী পর্যন্ত রোজই তো শুটিং। সারাক্ষণ কাজের মধ্যেই থাকতে হবে তাই।’’
তবে এই মেয়েটির মিষ্টি মুখ দেখার জন্য রীতিমতো অপেক্ষা করছেন মা-কাকমিরা। এটা শুনেই হেসে ফেললেন উষসী, স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বললেন, ‘‘আসলে বেশ কয়েকটা পুজোর উদ্বোধনে যাব। তবে সবটাই শুটের উপর নির্ভর করছে। তাই একটু চিন্তা হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: কার সঙ্গে পুজোয় প্যান্ডেলে ঘুরবেন ভানুমতী?
পুজোর সময় সবচেয়ে বেশি তাঁর মনে পড়ে ছোটবেলার কথা, পুজোর আড্ডা, গান। হইচই, খাওয়াদাওয়া-রীতিমতো জমজমাট পরিবেশেই পুজোয় থাকতে ভালবাসেন তিনি। তবে এবার কোনও প্ল্যানই করতে পারছেন না তিনি। কারণ টানা শুটিং। অষ্টমী পর্যন্ত। রোজ ১৪ ঘন্টার বেশি শুট করা যাচ্ছে না এখন, তাই পুজোর ছুটিতেও টান পড়েছে।
আর ছুটি না পেলে কী প্ল্যান করবেন তিনি! তবু ভাবছেন, বন্ধুদের সঙ্গে প্ল্যানটা সেরে ফেলতে হবে। কমলা গার্লসে বন্ধুরা রয়েছে। রয়েছে কলেজের বন্ধু বা ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরাও। তবে সত্যিই যদি ছুটি পেয়ে যান বকুল। তবে নিজের পরিবারের সঙ্গে, বাবা-মায়ের সঙ্গে কোথাও একটা বেড়াতে চলে যাবেন ছোট পর্দার অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা।
আরও পড়ুন: সন্ধিপুজোয় এক মণ চালের নৈবেদ্য
পর্দার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যদিও কোনও প্ল্যান নেই, কারণ অষ্টমী পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গেই কাটাচ্ছেন ক্যামেরার সামনে। তাই পুজোর সময়টা এক্কেবারে বাড়ির লোকের সঙ্গে কাটালেও মন্দ হয়না।
কবে কোন পোশাক পরবেন উষসী?
‘‘উঁহু! সারপ্রাইজ বলে কিছু থাকবেই না এখনই বলে দিলে। সব মোটেও বলব না,’’ স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি। অনলাইনে, টেলরিং শপ থেকে পোশাক তো বেছেই ফেলছেন তিনি। বেশিরভাগই ওয়েস্টার্ন বা ফিউশন। তবে সব এখনও আসেনি। আর শাড়ি?
পর্দার বকুলকে তো দিনরাত শাড়ি পরেই থাকতেই হয় কলেজের সময়টুকু বাদ দিলে। উষসী কিন্তু শাড়ি পরতে বেশ ভালবাসে। ‘‘মা বেশ কিছু শাড়ি কিনেছে। তার থেকে অষ্টমীর দিন একটা নিয়ে পরে নেব। অঞ্জলি দিই যদি, নতুন শাড়ি তো পরতেই হবে।’’
ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে
তবে সবার আগে একটু নিজের মতো করে বাড়ির সঙ্গে সময় কাটানোর অপেক্ষা করছেন তিনি। কবে ছুটি পাবেন? তা এখনও বুঝে উঠতেই পারছেন না। স্পষ্টই বললেন, ‘‘পঞ্চমীর বিকেলের প্ল্যান করতে পারব, পঞ্চমী সকালে কী কাজ জানলে তবেই। বাকি দিনগুলোও তেমন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy