ভূত আদৌ আছে কি নেই, এই নিয়ে মানুষের দ্বন্দ্ব যেমন চিরকালের, তেমনই টিভির পর্দায়ে 'তেনাদের' নিয়ে সিনেমা-সিরিজ়কে ঘিরেও দর্শকদের বিনোদনের অন্ত নেই। সামনেই তো কালীপুজো। ভূত চতুর্দশীও আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। আর তার আবহেই পর্দা জুড়ে জোরালো হচ্ছে রহস্যের গন্ধ। একের পর এক রোমহর্ষক সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজ়ের আগমন।
আরও পড়ুন:
সেই তালিকাতেই ‘হইচই’-এর নতুন সংযোজন, ‘নিশির ডাক’। সিরিজ়ে সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সৃজা দত্তের সঙ্গে রয়েছেন অভিনেতা মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে ভূতের গল্পে তাঁর উপস্থিতি এই প্রথম নয়, ‘কার্টুন’ এবং ‘চুপকথা’তেও বেশ ভূতুরে অভিযান করেছেন তিনি। কিন্তু এ তো গেল গল্পের কথা। পর্দার বাইরে কি 'তাঁদের' সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে অভিনেতার?
আনন্দবাজার ডট কমকে তিনি বলেন, “সৌভাগ্যবশত এখনও পর্যন্ত আমার জীবনে তেমন কিছু ঘটনা ঘটেনি। ভূতের ছবিই খালি অনেকগুলি করে ফেলেছি।” তবে এই প্রসঙ্গে হতাশ করেননি অভিনেতা। বরং জানান, তাঁর অভিজ্ঞতা না হলেও তাঁর এক সহ-অভিনেত্রীর সঙ্গে ঘটেছিল এক অলৌকিক ঘটনা। মৈনাক বলেন, “ভাইজাগের বহুল আলোচিত একটি স্টুডিয়োতে শ্যুট করতে গিয়েছিল আমার এক ইন্ডাস্ট্রি-বন্ধু। একটি ঘরে থাকাকালীন অদ্ভুত কিছু অনুভূতি হয়েছিল নাকি তাঁদের। আর অদ্ভুত ভাবে ওই একই ঘরে এক সময়ে আমিও থেকে ছিলাম বেশ কিছু দিন। কিন্তু আমার এমন কোনও অভিজ্ঞতা হয়নি। হয়তো ঘটেছিল কিছু, কিন্তু আমি অনুভব করে উঠতে পারিনি।”
আরও পড়ুন:
ভূতে বিশ্বাস আছে? মৈনাকের সহজ জবাব, “আসলে যাঁর সঙ্গে ঘটবে, সে বিশ্বাস করবে।” অভিনেতার কথায়, “এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়”। নিজের বন্ধুর কথা প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, “এখানে আমি আমার এক বন্ধুর উদাহরণ দেব। সে পুরোপুরি নাস্তিক। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ইউনিয়নেও ছিল। ওর চিন্তাভাবনাও একটু আলাদা ছিল আমাদের থেকে। শুনেছি, ওর মতো যুক্তিবাদী মানুষও নাকি এমন কিছু একটা দেখেছিল, যার ব্যাখ্যা ও নিজেও খুঁজে পায়নি। কাজেই এই বিশ্বাস-অবিশ্বাসের বিষয়টা সম্পূর্ণ নিজের অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করছে।” “এমন অনেক জিনিস আছে, যা চোখে দেখা যায় না বলে আমরা বিশ্বাস করি না। কিন্তু তাই বলে কি তাঁর অস্তিত্ব নেই?” প্রশ্ন রাখলেন অভিনেতা।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।