গণেশ পুজো মানে বাঙালিদের কাছে উৎসবের আমেজ শুরু। তবে পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গেলেও কাজ থেকে নিস্তার নেই কথা ও এভির! বুধবার, গণেশ চতুর্থী। তবে এ দিনেও দারুণ ব্যস্ততায় কাটছে সাহেব ভট্টাচার্য এবং সুস্মিতা দের সময়। আনন্দবাজার ডট কমের তরফে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সুস্মিতা বলেন, “শ্যুটিং করেই কাটছে দিনটা।”
যদিও তাতে বিশেষ আপত্তি নেই নায়িকার। তাঁর কথায়, “ভালই লাগছে। চারিদিকে এত উদ্যাপন দেখে মনে হচ্ছে এই তো পুজো চলেই এল। বাঙালিদের গোটা এক বছরের অপেক্ষা শেষ হতে চলেছে।”
সকালটায় তো ব্যস্ততা রয়েছেই। বিকেলের দৃশ্যটাও কি একই রকম? হাসতে হাসতে সুস্মিতা বলেন, “সকালে শ্যুটিং, দুপুরে শ্যুটিং…বিকেলেও শ্যুটিং।”
এ তো গেল গণেশ পুজোর কথা। আর দিন কয়েকের অপেক্ষা, তার পরেই দুর্গোৎসব। দুর্গাপুজোয় কী পরিকল্পনা সাহেব সুস্মিতার? অভিনেতা বলেন, “পুজো জুড়েই কাজ। শ্যুটিংয়ের কাজ থাকে। পুজো পরিক্রমা থাকে। সেই সবের জন্যেও আমি প্রতি বছর মুখিয়ে থাকি।” অভিনেত্রীর প্রস্তুতি কতদূর? প্রশ্ন করলেই অভিনেত্রীর জবাব, “কিছুই হয়নি এখনও। সময়ই পাচ্ছি না। আর আমাদের আগেভাগেই শ্যুটিং সেরে রাখতে হয়। সেই কারণে রবিবারগুলিও ছুটি নেই। কেনাকাটা তো হয়েই ওঠেনি।”
পরেই মাসেই মহালয়া। প্রতি বছর এই বিশেষ দিনটিতে একটি রীতি প্রচলিত রয়েছে সাহেবের বাড়িতে। আর সেটা হল ভাই-বোন একসঙ্গে বসে মহালয়া শোনা। সাহেব বলেন, “প্রতি বছর মহালয়ার সকালে আমরা একসঙ্গে বসে শুনবই। আর পুজোর একটা দিন আমরা ভাই-বোন, বন্ধুরা সকলে মিলে একজোট হই। তারপর খাওয়াদাওয়া, হইহুল্লোড়… এ বারেও হবে ষষ্ঠী অথবা সপ্তমীতে।” সাহেব-সুস্মিতার একসঙ্গে কোনও পুজোর পরিকল্পনা নেই? অভিনেত্রী বলেন, “পুজোতে কলকাতাতেই থাকব। এখানেই মজা করব। পুজোর সময়ও কাজ রয়েছে। আর সেই কাজটা বেশ মজাদার। কারণ পুজো পরিক্রমার মাধ্যমেই প্রচুর বড় বড় প্রতিমা দর্শন হয়ে যায়।” অন্য দিকে পুজোয় ঘুরতে যাওয়া একেবারেই পছন্দ নয় সাহেবের। তিনি বলেন, “পুজোর সময়ে চেষ্টা করি কলকাতাতেই থাকতে। ওই সময়ে শহর জুড়ে উত্তেজনাটাই অন্য মাত্রায় থাকে। সবাইকে এত উপভোগ করতে দেখেই সারাবছরের ক্লান্তিটা দূর হয়ে যায়।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ ।