লক্ষ্মীপুজোকে ঘিরে আজও আলোচিত উত্তম কুমারের বাড়ির পুজো। এখনও সেই একই উত্তেজনা এবং ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায়। এই পুজো শুরু করেছিলেন স্বয়ং মহানায়ক। কিন্তু জানেন কি এর নেপথ্যের রোমহর্ষক ইতিহাস?
আরও পড়ুন:
অরুণ কুমার তত দিনে পোর্ট ট্রাস্টের চাকরি ছেড়েছেন। রুপোলি জগতে বেশ নাম-ডাক হচ্ছে তাঁর। এমনই এক সময়ে দুর্গাপুজো মিটেছে সবে। এক বিকেলে ভবানীপুরের পৈতৃক বাড়ির ছাদে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন উত্তম কুমার। অন্যমনস্ক অবস্থায় হঠাৎ তাঁর চোখে পড়ে একটি ছোট্ট মেয়ে। পা ঝুলিয়ে বসে আছে ছাদের কিনারে।
কিন্তু বাড়িতে বালিকা বলতে তো একমাত্র তাঁর ভাইঝি রত্না। তবে বাচ্চাটি সে নাকি? ওই মুহূর্তে শুরু হয় রত্নার খোঁজ। কিন্তু কী অদ্ভুত কাণ্ড! রত্না যে নিজের ঘরে ঘুমে আচ্ছন্ন। তা হলে ছাদের মেয়েটি কে?
কিছু দিন পেরোতেই আরও এক অবাক কাণ্ড! কোথা থেকে যেন একটি লক্ষ্মী পেঁচা এসে হাজির হয় ভবানীপুরের চাটুজ্যে বাড়িতে। এর পরে বিষয়টি দু’য়ে দু’য়ে চার করতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি মহানায়ককে। তিনি বিশ্বাস করেন, সেই দিনের সেই ছোট্ট বালিকার রূপে স্বয়ং লক্ষ্মীই এসেছিলেন তাঁর ঘরে। ব্যস, তার পর থেকেই শুরু…
জাঁকজমক ও আড়ম্বরের সঙ্গে শুরু লক্ষ্মী বন্দনা। গৃহলক্ষ্মী গৌরী দেবীর মুখের আদলেই গড়া হয় প্রতিমার মুখ। পুজোর সব কিছুর উপরেই কড়া নজর থাকত উত্তম কুমারের। বাইরে থেকে আনা মিষ্টান্ন নয়, নিজের বাড়িতে ময়রা ডেকে আনতেন তিনি। ভোগ-নৈবেদ্য সাজিয়ে নিজের হাতে পরিবেশন করতেন তারকা। বছরের এই সময়টা ভবানীপুরের বাড়িতে বসত চাঁদের হাট। টলিপাড়ার এক ঝাঁক তারকা নিমন্ত্রিত থাকতেন সেই পুজোয়। এই ধারায় ভাটা পড়েনি আজও।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।