কারও চাই অরগ্যাঞ্জা ব্লাউজ়, তো কারও পছন্দ সাবেকিয়ানা। পুজোর জন্য শাড়ির কেনাকাটা তো শুরু ইতিমধ্যেই, কিন্তু তার সঙ্গে মনের মতো ব্লাউজ়টাও তো চাই! ‘হাকোবা ব্লাউজ়’, ‘সব্যসাচী কাট ব্লাউজ়’- বর্তমানে ফ্যাশনের বাজারে এই ব্লাউজ়গুলির চাহিদা তুঙ্গে। সেইসঙ্গে তুঙ্গে দামটাও। হাত দিলেই ছ্যাকাঁ! তা হলে এমন কোথায় যাওয়া যায় যেখানে সস্তায় মনের মতো ব্লাউজ়টিও পাওয়া যাবে আবার সাজের সঙ্গে আপসও হবে না। সেরা কিছু জায়গার রইল ঠিকানা।
প্রথমেই আসে বড়বাজারের মল্লিক স্ট্রিটের কথা। কোনটা ছেড়ে কোনটা দেখবেন! অত্যন্ত কম দামে পেয়ে যাবেন হোলসেল ব্লাউজ়। এখানকার ব্লাউজ়ের কালেকশন দেখেও চোখ ফেরানো দায়। সামান্য বুদ্ধি খাটিয়ে দরদাম করলেই কম দামে মনের মতো ব্লাউজ় হাতের মুঠোয়।
বড়বাজারের হাঁসপুকুর লেনেও একাধিক পাইকারি ব্লাউজ়ের সন্ধান পাওয়া যাবে। মাত্র দেড়শো’র মধ্যেই পেয়ে যাবেন মনের মতো ব্লাউজ়। তবে ব্লাউজ়ের মাপ, ধরন সবই পরখ করে নিতে হবে দোকানে দাঁড়িয়েই।
কেনাকাটা শুরু করবেন আর গড়িয়াহাটে ঢুকবেন না, তা কী ভাবে হয়! শাড়ি থেকে শুরু করে, কুর্তি, জিন্স, টপ-সবই যেন এক ছাদের তলাতেই। ব্লাউজ়ের ক্ষেত্রেও রয়েছে রকমারি ধাঁচ। কী পছন্দ? জামদানি নাকি খাদি? বোট নেক গলা চাই না কি গোল গলাতেই স্বাচ্ছন্দ্য? সবই পেয়ে যাবেন গড়িয়াহাটের মোড়ে। অনেক সময় আলাদা ভাবে নিজের মাপ দিয়ে ‘প্লাস সাইজ়’ ব্লাউজও বানিয়ে নিতে পারবেন। যদিও তাতে একটু সময় তো লাগবেই।
হাতিবাগানেও একাধিক ব্লাউজ়ের দোকান রয়েছে। যেখানে খুবই অল্প দামে ডিজ়াইনার ব্লাউজ়ের হরেক রকম সম্ভার পাওয়া সম্ভব। দুর্গাপুজোর সময় দুর্গাঠাকুরের নকশা করা লাল ব্লাউজ়ের জনপ্রিয়তা বেশি। এ ছাড়াও অনেকের অন্যতম পছন্দের আজরাখ প্রিন্টের ব্লাউজ়। ৪০০-৫০০র মধ্যে সব রকম ধাঁচের ব্লাউজ়ই পেয়ে যাবেন এই চত্বরে।
নজরকাড়া সাজের ব্লাউজ় চাইলে ঢাকুরিয়ার দক্ষিণাপনও হতে পারে সেরা ঠিকানা। এখানে ডিজ়াইনার, রেডিমেড, হ্যান্ডলুম-সবই পেয়ে যেতে পারেন।
নিউমার্কেটেও একবার ঢুঁ মেরে আসতে পারেন। সিল্কের কাপড়ের উপর কাঁথা স্টিচ, টিস্যু সিল্কের ব্লাউজ়, ভেজিটেবিল ডাই প্রিন্টেড ব্লাউজ়ের সন্ধানে থাকলে একবার নিউমার্কেট ঘুরে আসাই যায়।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।