সামনেই পুজো। জোরদার কেনাকাটা চলছে গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট কিংবা হাতিবাগানের ভিড় ঠেলে। সঙ্গে রয়েছে পুজোর দিন গুনে পরিকল্পনা, কোথায় হবে খানাপিনা, কোথায় বা ঠাকুর দেখা। এ দিকে পারতপক্ষে সারা বছর তো শাড়ি পরাই হয় না।
তাই বুকে দুরুদুরু ভয়, পুজোর ভিড়ে শাড়ি সামলাতে না পেরে যদি ছড়িয়ে যায় ব্যপারটা, তখন? মুশকিল আসান হোক প্রি ড্রেপ করা শাড়িতে। কী জিনিস এই প্রি-ড্রেপড বা আগে থেকে গুছিয়ে রাখা শাড়ি? কী ভাবে পরবেন আর কী সাজবেন? হদিশ রইল এই প্রতিবেদনে।
ইদানীং বলি পাড়ার তারকা মহলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আগে থেকে ড্রেপ করা শাড়ি। মালাইকা অরোরা থেকে তমন্না ভাটিয়া, প্রি ড্রেপ শাড়িতে মন মজেছে সব্বার। নামজাদা পোশাক শিল্পীরা যেমন, মণীশ মলহোত্রা বা রিধি মেহরা, এখন তারকাদের সাজাচ্ছেন সিক্যুইন বা স্যাটিনের ভারী কাজের আগে থেকে গোছানো শাড়ি।
তবে ড্রেপিস্ট সুরজিত বিশ্বাস বললেন, ‘বলি পাড়ার পোশাক শিল্পীরা যে ভাবে নিজেদের মডেলদের সাজাচ্ছেন, সে ভাবে এখনও বাঙালি সাজে প্রি-ড্রেপ করা শাড়ি আসেনি বাংলায়।’ প্রি-ড্রেপ করা শাড়ি মানেই একটু পশ্চিমি ঘেঁষা সাজ, তাতে রয়েছে, তাতে রয়েছে একটু অবাঙালি ছোঁয়া, বলেই মনে করছেন সুরজিত বিশ্বাস।
তবে হঠাৎ করেই কেন জনপ্রিয়তা বাড়ছে এমন প্রি-ড্রেপ করা শাড়ির? সুরজিতের মতে, ‘প্রি-ড্রেপড শাড়ি পরার বিশেষ সুবিধা হল, আজকালকার অনেক মেয়েরাই শাড়ির আঁচল বা কুঁচি সামলাতে রীতিমতো হিমসিম খান। প্রি ড্রেপ শাড়ির কল্যাণে সেই ভয় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।’ নির্ভয়ে শাড়ি পরে নিশ্চিন্তে থাকার অন্যতম উপায় হল এই নতুন কেতা।
আর যদি কেউ কিয়ারা আডবাণীর সোনালি রঙের শাড়ি, জাহ্নবী কপুরের মতো ল্যাভেন্ডার রঙের সিক্যুইনের কাজ করা শাড়ি, কিংবা অভিনেত্রী ডায়ানা পেন্টির মতো কটকটে ফুশিয়া গোলাপি রঙের একরঙা প্রি-ড্রেপ শাড়িকে পুজোর সাজের মধ্যে মেলে ধরতে চান তাহলে কী করবেন?
উত্তরে সুরজিত জানালেন, ‘পুজোর সময় প্রি-ড্রেপ শাড়ি পরার আদর্শ দিন হল নবমীর রাত। বলি তারকাদের মতো প্রি ড্রেপ শাড়ি পরুন, সঙ্গে থাকুক ডিপ নেক ঝলমলে ব্লাউজ আর হীরের মতো পাথরের হাল্কা গয়না।’ তাতেই আপনার পুজোর সাজে মাতিয়ে দিতে পারবেন পুজোর মণ্ডপ।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy