পুজোর সাজ শাড়ি ছাড়া আবার চলে নাকি! বিশেষ করে অষ্টমী থেকে দশমী, এই কয়েকটি দিন বঙ্গললনাদের প্রথম পছন্দই হল জামদানি থেকে তাঁত, অথবা সিল্ক, মলমল। বেশ কিছু বছর ধরে তারকাদেরও পছন্দের তালিকায় উঠে এসেছে অরগাঞ্জা শাড়িগুলি। আর প্রিন্টেট কটন শাড়ি তো বরাবরই ট্রেন্ডে। এই পুজোয় আপনি কোনটিকে বেছে নিচ্ছেন?
চান্দেরি শাড়ি
মধ্যপ্রদেশের চান্দেরিতে তৈরি। জায়গার নামেই শাড়ির নাম। সুতির সঙ্গে রেশম সুতোর বুননে এই চান্দেরি কটনের জনপ্রিয়তা কখনই ফিকে হয় না। এ ছাড়াও আছে— চান্দেরি সিল্ক, সুতির চান্দেরি ইত্যাদি। পুজোর দিনে ঘুরতে যাওয়া হোক বা একঘেয়ে অফিস মিটিং, যে কোনও ক্ষেত্রেই গায়ে জড়িয়ে নিতে পারেন এটিকে।
প্রিন্টেট কটন শাড়ি
ধরুন সকালে রয়েছে অফিস আর সেখান থেকে বেরিয়েই কোনও অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ। প্রিন্টেট কটন শাড়ি যেন এই গরমের জন্য উপযুক্ত পোশাক।
আরও পড়ুন:
কোটা শাড়ি
সুতি কিংবা রেশম সুতোর ছোট ছোট স্বচ্ছ চৌখুপি। যেন শাড়ির দুনিয়ায় এটিই হল ‘হাওয়ামহল’। বাহুল্যহীন এই শাড়ি যেন চাকচিক্যের ভিড়েও স্বতন্ত্র। স্বচ্ছ জালের মধ্য দিয়ে হাওয়া চলাচলে কোনও বাধা নেই। গরমেও থাকুন প্রাণবন্ত।
অরগাঞ্জা
স্বচ্ছ শাড়িতে অভিনব আঁকিবুঁকি। অরগাঞ্জা তো এখন তারকাদেরও পছন্দের তালিকায়।
মলমল শাড়ি
শাড়ির নাম শুনেই বুঝতে পারছেন এই শাড়ি অত্যন্ত নরম। পরেও আরাম। মিহি সুতোয় বোনা হালকা মাড়হীন এই কাপড় নিঃসন্দেহে আপনার প্রতিদিনের সঙ্গী।
বালুচরি শাড়ি
মুর্শিদাবাদে তৈরি হয়। প্রতিটা পরতে পরতে রামায়ণ-মহাভারতের নানা চিত্র, পৌরাণিক কাহিনি এই শাড়িগুলির মূল আকর্ষণ। পুজোর সকাল হোক বা বিয়েবাড়ির সন্ধে, এগুলিকে রাখতেই পারেন নিজের সংগ্রহে।
মসলিন
বাংলার বহু প্রাচীন মিহি বুননের শাড়ি। নরম যেমন, তেমনই টেকসই। আভিজাত্যের নিরিখে মসলিন শাড়ির জনপ্রিয়তা বিশ্বজোড়া।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।