স্মুদনিং করানোর পর চুলের সঠিক যত্ন নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি কী কী করতে পারেন? জেনে নিন।
পুজো মানেই সাজুগুজু। নিজেকে আরও সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তুলতে কতই না তোড়জোড়! পায়ের নখ থেকে মাথার চুল - সবই থাকতে হবে ঝকঝকে, তকতকে। তবে, শুধুমাত্র পুজোর দিনগুলিতেই নিজেকে সাজিয়ে, গুছিয়ে তুললে হবে না। রূপচর্চা জারি রাখতে হবে তারপরও। তা না হলেই কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে!
যেমন - পুজোর সময় অনেকেই চুলে স্মুদনিং করান। তাতে চুলের জেল্লা বাড়ে, চুলে হাত বোলালে একটা নরম স্পর্শ মন ভালো করে দেয়। কিন্তু, চুলের এই সৌন্দর্য এমনি এমনি আসে না। তার জন্য নানা ধরনের রাসায়নিকসমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার করা হয়, চুলে অতিরিক্ত তাপ প্রয়োগ করা হয়। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, এই সমস্ত ব্যবহারিক আচরণের ফলে চুলের ক্ষতিও হতে পারে। তাই, স্মুদনিং করানোর পর চুলের নিয়মিত যত্ন নেওয়া দরকার।
আরও পড়ুন:
চুল পড়া: স্মুদনিং করানোর ফলে হঠাৎ করেই চুল ঝরে পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। চুলের ফলিকল দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে এমনটা ঘটে।
চুলের শুষ্কতা বৃদ্ধি: স্মুদনিং করানোর পর চুলে প্রাকৃতিক আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যায়। যার ফলে চুল শুষ্ক ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে। ফলে চুলের ঔজ্জ্বল্য কমে যেতে পারে।
চুলের আগা ফেটে যাওয়া: যাঁদের এমনিতেই এই সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে স্মুদনিং করানোর পর সঠিক যত্ন না নিলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। এমনকী, যাঁদের এমন কোনও সমস্যা নেই, তাঁদেরও স্মুদনিং করানোর পর এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মাথায় চুলকানি: স্মুদনিং করার সময় যেসমস্ত রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, তাতে স্ক্যাল্প বা মাথার ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যার ফলে চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। যা আদতে এক ধরনের প্রদাহ।
এই সমস্ত কারণেই স্মুদনিং করানোর পর চুলের সঠিক যত্ন নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি যা যা করতে পারেন, তা হল -
নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন এবং শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার লাগান।
নির্দিষ্ট সময় অন্তর হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
স্নানের সময় যতটা সম্ভব মাথা ধোওয়ার জন্য গরম জলের ব্যবহার কম করুন বা এড়িয়ে চলুন।
বারবার চুল আঁচড়াবেন না বা ঘষবেন না।
স্মুদনিং করানোর পর বাড়াবাড়ি রকমের সমস্যা হলে অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।