বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দরজায় কড়া নাড়ছে প্রায়। হাতে আর মাত্র মাসখানেক সময়। তার আগে ব্যস্ত রুটিনের মাঝেও নিজেকে পুজো রেডি করে তুলতে হবে তো! আর তার জন্য কেবল পার্লারের উপর ভরসা করলেই হবে না। পুজোর আগে ত্বকের জেল্লা বাড়াতে চাই সঠিক যত্ন-ও। আর তার জন্য বেছে নিতে পারেন সিটিএম পদ্ধতি।
এই সিটিএম পদ্ধতি আসলে কী?
সিটিএম-এর পুরো কথাটি হল ক্লেনজ়িং, টোনিং এবং ময়শ্চারাইজ়িং। হ্যাঁ, ত্বকের যত্নের জন্য এই তিনটি ধাপ একদম স্কিপ করা যাবে না। পুজোর আগে দাগহীন, উজ্জ্বল ত্বক পেতে চাইলে মাসখানেক এই নিয়ম মেনে চলতে হবে। তবে, কেবল একবারই কিন্তু যথেষ্ট নয়। দিনে দু'বার এই সিটিএম পদ্ধতি মেনে চলতে হবে ত্বকের যত্ন নিতে চাইলে, একবার সকালে ঘুম থেকে উঠে, আরেকবার রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে।
রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রথম কাজ হবে ত্বক পরিষ্কার করা অর্থাৎ ক্লেনজ়িং । আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী বাজারচলতি যে কোনও ক্লেনজ়ার দিয়ে গোটা মুখ ধুয়ে ফেলুন। মুখ ধোয়ার জন্য গরম জল নয়, ব্যবহার করুন ঠান্ডা জল। মুখ পরিষ্কার করার সময় কখনই ত্বক বেশি ঘষবেন না। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্লেনজ়ার ব্যবহার করলে ত্বক মোলায়েম তো হয়ই, সঙ্গে তাতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছয়, যা স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার জন্য খুবই জরুরি।
ক্লেনজ়িং করার পরের ধাপ হল টোনিং। মুখ ভাল করে ধোয়ার পর টোনার ব্যবহার করা উচিত। কেন টোনার ব্যবহার করবেন? এটি ব্যবহার করলে একটি সুরক্ষা স্তর তৈরি হয় ত্বকের উপর, যা আপনার আর্দ্রতাকে ধরে রাখতে সাহায্য করে। টোনার ত্বকের পিএইচ মাত্রাকেও নিয়ন্ত্রণ করে। আপনার ত্বক কেমন সেই অনুযায়ী বাজারচলতি যে কোনও টোনার হয় আলতো হাতে মুখে লাগিয়ে নিতে পারেন, নইলে তুলোও ব্যবহার করতে পারেন।
আর এই সিটিএম স্কিনকেয়ারের শেষ ধাপ হল ময়শ্চারাইজ়িং। টোনিং করা হয়ে গেলে আপনার ত্বক অনুযায়ী একটি ময়েশ্চরাইজার লাগিয়ে নিন। এতে ত্বক মোলায়েম এবং আর্দ্র থাকবে।
হাতে যে কটা দিন আছে, তাতে উপরের এই পদ্ধতি মেনে ত্বকের যত্ন নিলে পুজোর সময় উজ্জ্বলতা তো বাড়বেই, নিজেও বুঝতে পারবেন বদলটা।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।