পুজো এলেই ওজন কমানোর হিড়িকের পাশাপাশি রূপচর্চার ধুম পড়ে যায়। অনেকেই আবার বিভিন্ন ধরনের চুলের ‘চিকিৎসা’ও করিয়ে থাকেন। আরও সুন্দরী, আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে, চুলকে সহজে ম্যানেজ করতে স্ট্রেটনিং থেকে স্মুদনিং, বোটক্স করিয়ে থাকেন। তবে বিগত কয়েক বছরের এই ট্রেন্ডকে এবার বদলেছে ‘ন্যানোপ্লাস্টিয়া’। কিন্তু এই বিষয়টা আদতে কী? কী কী উপকার মেলে? খারাপ দিকই বা কী এর?
ন্যানোপ্লাস্টিয়া কী?
ন্যানোপ্লাস্টিয়া আদতে চুলের একটি বিশেষ ধরনের চিকিৎসা। এটি চুলের ফর্মাডিহাইড-ফ্রি একটি ট্রিটমেন্ট। এতে ন্যানোটেকনোলজি ব্যবহার করা হয়, তাই এমন নাম। এই চিকিৎসায় মূলত কোলাজেন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, প্রোটিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে যা মোটামুটি সমস্ত ধরনের চুলেই করানো যেতে পারে। এতে কেরাটিন ট্রিটমেন্ট বা স্ট্রেটনিং, স্মুদনিংয়ের মতো কোনও ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না।
ন্যানোপ্লাস্টিয়া কী সহজ ভাষায় বুঝিয়ে রূপটান শিল্পী এবং শহরের এক নামকরা স্যালোঁর কর্ণধার সুজাতা চক্রবর্তী বলেন, "এটি একটি থ্রি লেয়ার ট্রিটমেন্ট। চুলের একদম গভীর স্তর পর্যন্ত এই ট্রিটমেন্ট করা হয়। ন্যানোপ্লাস্টিয়া করালে চুলের রুক্ষভাব কমে। একই সঙ্গে এটি চুলের বৃদ্ধিতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। চুল ঝরে যাওয়া, ছিঁড়ে যাওয়ার সমস্যা কমে যায়।"
কী কী উপকার পাওয়া যায় ন্যানোপ্লাস্টিয়া করলে?
সুজাতা জানিয়েছেন ন্যানোপ্লাস্টিয়া করালে এর প্রভাব অন্তত এক বছর থাকেই। তারপর আবার এই ট্রিটমেন্ট করাতে হয়। চুলের জট পেকে যাওয়া, ছিঁড়ে বা উঠে যাওয়ার সমস্যা কমে। তাই আপনি যদি চুলের ঘনঘন জট পেকে যাওয়া, রুক্ষ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যায় ভুগে থাকেন, কিংবা অন্যান্য কোনও ট্রিটমেন্ট করানোর কুফল এখন ভোগ করে থাকেন তা হলে সেটা থেকে খানিক মুক্তি পেতে ন্যানোপ্লাস্টিয়া অপশন হিসেবে বেছে নিতে পারেন বলেই জানাচ্ছেন এই রূপটান শিল্পী।
স্ট্রেটনিং বা স্মুদনিং করানোর মতো এখানেও কি কয়েক মাস পর থেকে প্রচুর পরিমাণে চুল ওঠে বা ছিঁড়ে যায়? সুজাতা বলেন, "না, তবে কারও কারও ক্ষেত্রে ন্যানোপালস্টিয়া করালে মাথার ত্বকে হালকা চুলকানির সমস্যা হতে পারে। বা কারও যদি অ্যালার্জি থাকে তা হলে গোটা চুলে এই চিকিৎস করানোর আগে যেন প্যাচ টেস্ট করিয়ে নেন।"
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।