জীবনে নানা ধরনের সমস্যা আসতে পারে, যা মানসিক শান্তি নষ্ট করে। এর প্রতিকার হিসেবে জ্যোতিষ শাস্ত্রে এমন কিছু টোটকা রয়েছে, যা জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম। এই তালিকায় একটি খুব সহজ এবং কার্যকরী উপায় হল কর্পূর ব্যবহার। কর্পূর শুধু পুজোয় ব্যবহৃত হয় না। এর নিজস্ব এক বিশেষ শক্তি আছে বলে মনে করা হয়, যা পরিবেশ থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর করতে সক্ষম। শারদীয়ার আবহে জীবনে ইতিবাচক শক্তির আবাহন করে দেখবেন নাকি? কর্পূর এবং কিছু সাধারণ জিনিসে আস্থা রাখলেই হবে!
জ্যোতিষ মতে, নির্দিষ্ট দিনে কর্পূরের সঙ্গে কিছু বিশেষ জিনিস জ্বালালে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুফল মেলে।
মঙ্গল ও শনিবারে কর্পূরের সঙ্গে লবঙ্গ
মঙ্গল এবং শনিবারের মতো দিনে কর্পূরের সঙ্গে লবঙ্গ জ্বালানো খুব শুভ বলে মনে করা হয়। এই দুই দিনই শনির প্রভাবযুক্ত। মনে করা হয়, এই টোটকাটি নেতিবাচক শক্তিকে দূর করে এবং শনির অশুভ প্রভাব কমায়। এটি ঘরের পরিবেশকে বিশুদ্ধ করে এবং পারিবারিক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
বৃহস্পতি ও শুক্রবারে কর্পূরের সঙ্গে তেজপাতা
বৃহস্পতি এবং শুক্রবারকে পারিবারিক সৌহার্দ্য এবং সম্পর্কের দিন হিসাবে ধরা হয়। এই দিনে কর্পূরের সঙ্গে তেজপাতা পোড়ানো খুবই কার্যকরী হতে পারে। বিশ্বাস করা হয়, এই উপায়টি পরিবারে শান্তি বজায় রাখতে এবং স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক মজবুত করতে সাহায্য করে। এটি ভালবাসা ও সৌভাগ্যের প্রতীক হিসাবে কাজ করে।
রবি ও সোমবারে কর্পূরের সঙ্গে দারচিনি
রবি এবং সোমবারকে সম্পদ ও সমৃদ্ধির দিন হিসাবে গণ্য করা হয়। এই দিনে কর্পূরের সঙ্গে দারচিনি জ্বালানোর টোটকাটি আর্থিক সমস্যার সমাধান করতে পারে। মনে করা হয়, এই উপায়টি বাড়িতে ধন-সম্পদ বৃদ্ধি করে এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আসে। এটি সম্পদ এবং উন্নতির প্রতীক।
জ্যোতিষ শাস্ত্রের এই টোটকাগুলোর পিছনে মূল বিশ্বাস কী?
নেতিবাচক শক্তি দূর করা: কর্পূরের গন্ধ এবং ধোঁয়া ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তিকে সরিয়ে দেয়।
সঠিক গ্রহের প্রভাব: বিভিন্ন দিন বিভিন্ন গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত। সেই অনুযায়ী, সঠিক দিনে সঠিক জিনিস ব্যবহার করলে সেই গ্রহের শুভ প্রভাব বৃদ্ধি পায়।
মনের শান্তি: এই ধরনের কাজ মনের মধ্যে একটি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি করে, যা সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে।
এই টোটকাগুলো অবশ্যই প্রচলিত বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছে। এর কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তবে অনেকেই মনে করেন যে এগুলি তাঁদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।