প্রতীকী ছবি।
পুজোর ক’দিন জমিয়ে খাওয়া দাওয়ায় ভাটা পড়েছে নিয়মিত শরীরচর্চায়। প্রাণ যা চেয়েছে তাই যথেচ্ছ খেয়েছেন অনেকে। পুজোর মরসুম এ বার শেষের পথে। সামনে বাকি কেবল জগদ্ধাত্রী পুজো। কলকাতায় এই পুজোতে দুর্গাপুজো বা কালীপুজোর জাঁকজমক। ইতিমধ্যেই অনেকে ধীরে সুস্থে কাজে ফিরছেন। কিছু দিনের মধ্যেই দীর্ঘ দেড় বছরের স্তব্ধতার পরে খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। ছন্দে ফিরছে রাজ্য, ছন্দে ফিরছেন মানুষ। কিন্তু আপনার উৎসবের রেশ কাটছে না এখনও? কী করবেন ডিটক্সের জন্য? রইল কিছু হদিশ।
কী খাবেন
১) লেবু-পুদিনার সঙ্গে নারকেলের জল: নারকেল-শাঁস কুরিয়ে তা নারকেলের জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। তার পর তাতে পুদিনা পাতা, লেবুর রস ও মধু দিয়ে মিক্সারে দিয়ে দিন। তৈরি মিশ্রণটি খান ডিটক্সের জন্য।
২) গাঁজর ও বীট জল: একটি পাত্রে গাজর ও বীট কেটে তাতে দারচিনি ভেঙে দিয়ে দিন। তার মধ্যে জল দিন। চাইলে লেবুর রসও দিতে পারেন। এ বার মিশ্রণটি ঘরের তাপমাত্রায় ১ ঘণ্টা রাখার পর পান করুন। এটিও ডিটক্সের কাজ করবে।
কী করবেন
১) জল খাওয়া: যে কোনও রকম অসুস্থতা হোক বা ওজন ঝরানো— সবেতেই অপরিহার্য জল। এই ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নেই। দিনের ৬ গ্লাস জল খাওয়া আবশ্যক। এর ফলে চাঙ্গা হবে শরীর।
২) খাওয়া দাওয়ার রুটিন: পুজোয় বেলাগাম খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি অনিয়ম করাও একটি বড় কারণ এই সময়ের ক্লান্তির পিছনে। সঠিক সময়ে খাওয়া দাওয়া করলে আবার দৈহিক শক্তি ফিরে পাবেন আগের মতো। সূর্যাস্তের আগে রাতের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। তা একান্ত সম্ভব না হলে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৪ ঘণ্টা আগে সারুন রাতের খাবার।
৩) যোগাসন ও শরীরচর্চা: দিন শুরু করুন যোগাসনের মাধ্যমে। শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামও সমান গুরুত্বপূর্ণ। সকালে খালি পেটে ৫ বার সূর্য নমস্কার করুন।
৪) সব্জি ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার: পুঁইশাক বা ব্রকোলির মতো শাক-সব্জি খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে। তার সঙ্গে খান বিন্স, অ্যাভোক্যাডো বা শুকনো ফলের মতো ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার।
৫) পর্যাপ্ত ঘুম: একজন প্রাপ্তবয়স্কের প্রয়োজন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম। মস্তিষ্ককে সচল রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। পুজোর হুল্লো়ড়ে অনেকেরই ঘুমের রুটিন ব্যহত হয়েছে। এ বার সময় সেই রুটিনে অবিলম্বে আবার ফিরে যাওয়ার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy