ঠাকুর দেখা চলছে পুরোদমে। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, খাওয়াদাওয়া, পায়ে হেঁটে একের পর এক মণ্ডপ— সবটাই মজার। এ দিকে, বৃষ্টি আর ভ্যাপসা গরমে পুজোর আনন্দ মাটি হওয়ার জোগাড়! পুজোর ভিড়, বৃষ্টির ছিটেফোঁটা, অথবা ঘামের ভাপ চশমার কাচে জমে গেলে মেজাজ গরম হয়ে যায় সবারই। কাচ ঝাপসা, সামনে শুধু অস্পষ্ট আলো-ছায়া— ভিড়ের মধ্যে এমন পরিস্থিতিতে ঠাকুর দেখাই যেন কঠিনতম কাজ।
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই জামার কাপড়, শাড়ির আঁচল, রুমাল বা তুলোর টুকরো দিয়ে চশমা মুছে নেন। কেউ কেউ আবার ফুঁ দিয়ে ধুলো সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদ্ধতিগুলি একেবারেই ঠিক নয়। এতে কাচের লেন্সে দাগ বা স্ক্র্যাচ পড়তে পারে, যা ধীরে ধীরে চশমার কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়।
তা হলে এই উৎসবের মরসুমে কী ভাবে চশমা ঝকঝকে রাখবেন?
এ ক্ষেত্রে পুজোর ভিড়ে বা রাস্তায় বেরোনোর আগে ছোট্ট প্রস্তুতি নিলেই মুশকিল আসান। প্রথমে ঠান্ডা জল দিয়ে হালকা করে চশমা ধুয়ে নিন। এতে ধুলোর কণাগুলো নরম হয়ে যায়। এর পরে একটি পরিষ্কার ও নরম টিস্যু দিয়ে আলতো ভাবে মুছে নিন। যদি হাতের কাছে টিস্যু না থাকে, তবে একটি খবরের কাগজের টুকরো ভিজিয়ে নিয়েও চশমা পরিষ্কার করা যেতে পারে। সবচেয়ে ভাল হয়, যদি বাজারে যে চশমা পরিষ্কারের বিশেষ সলিউশন পাওয়া যায়, তা ব্যবহার করা। সলিউশনটি স্প্রে করে টিস্যু দিয়ে মুছে নিলেই কাচ একেবারে ঝকঝকে হয়ে যাবে।
মনে রাখবেন, কখনওই মুখের ভাপ বা ফুঁ দিয়ে চশমা পরিষ্কার করবেন না। এতে কাচের উপরে আর্দ্রতা জমে ক্ষতি হতে পারে। এ ছাড়া, কাপড় দিয়ে ঘষেও চশমা মুছবেন না।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।