আজকালকার দিনে এত ভেজাল খাবার খাওয়ার কারণে অনেক সময়ে ব্রণর আগমন ঘটে মুখে। বাইরের ফাস্টফুড খাবার বেশি না খাওয়া, টাটকা, কম তেল-চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া, ঠিক সময়ে ঘুমোনো, পর্যাপ্ত জল খাওয়া, রোদে বেশি না যাওয়া, মুখ ভাল ভাবে পরিষ্কার করা, দুশ্চিন্তামুক্ত জীবনযাপন, প্রসাধনী ও মেকআপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা, ব্রণ হলে না খোঁচানো– এমন কয়েকটা জিনিস অভ্যাস করতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ব্রণ হলে কী ভাবে রাতারাতি দূর করবেন।
বরফের কিউব: মুখের জেদি আর যন্ত্রণাদায়ক ব্রণকে শান্ত করতে একখণ্ড বরফের কিউবই যথেষ্ট। দিনে অন্তত চার বা পাঁচ বার বিরতি নিয়ে ব্রণের উপরে বরফের টুকরো ঘষতে থাকুন। এতে তা অনেকটাই কমে যাবে বা ছোট হয়ে আসবে।
মধু ও অ্যালোভেরার মিশ্রণ: মধু ও অ্যালোভেরা একত্রে মিশিয়ে ব্রণের উপরে লাগাতে পারেন।
লেবুর রস: ব্রণের দাগ হালকা করতে লেবু ব্যবহার করা যেতে পারে । প্রাথমিক ভাবে, এতে ভিটামিন সি রয়েছে, যা ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের কোষগুলির পুনর্জন্মে সহায়তা করে। দ্বিতীয়ত, এটিতে আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিডও রয়েছে, যার ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য দাগ ফিকে করতে সহায়তা করে। আপনি যদি রোদে বাইরে না যান, তবে আপনি এটি সরাসরি আপনার ত্বকে লাগাতে পারেন। একটি বিকল্প হিসাবে একটি লেবু ফেস মাস্ক ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে অনেক উপকারিতা পাবেন।
টি ট্রি অয়েল: টি ট্রি অয়েল অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণসমৃদ্ধ। দিনে কয়েক বার লাগালে ব্রণ কমে আসবে। তবে আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়, তা হলে এই নিয়ম আপনার জন্য নয়!
স্পট ক্রিম: স্পট ক্রিম বা দাগ দূর করার বিভিন্ন ক্রিমে থাকে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ও বেনজলপারঅক্সাইড। ফলে এটিও মরা চামড়া দূর করবে, ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলবে আর অতিরিক্ত তেলও শুষে নেবে।
খুব অল্প সময়ে, স্বল্প খরচে অনেক তাড়াতাড়ি মুখের ব্রণ সারাতে এই টিপসগুলি মাথায় রাখতে পারেন।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।