প্রতীকী চিত্র
কড়া নাড়ছে পুজো। সেজে উঠছে পুজো মণ্ডপ। আপনার সাধের বাড়িটিকেও না সাজালে চলে! তা যদি হয় সামান্য রদবদল করে, তা হলে কেমন হয়? বাড়ির অনেক দিনের পুরনো
আসবাবপত্র দেখতে দেখতে একটা একঘেয়েমি চলে আসে। তাদের জায়গা অদলবদল করে কিংবা সাধ্যের মধ্যে পুরনো আসবাবের বদলে নতুন এনে সাজিয়ে নেওয়া যায় অন্দর। কে বলতে পারে, এই বদলই হয়ত মনের মধ্যে রোদ্দুর এনে দিল! এমনই কিছু অন্দরসজ্জার সুলুকসন্ধান রইল এই প্রতিবেদনে।
কোণের ব্যবহার
আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই জানলার বা খাটের পাশে একটা কোণ থাকে। যা দু’টি দেয়ালের সংযোগস্থল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই কর্নার স্পেস ঠিকমতো ব্যবহার করে ওঠা যায় না। ফলে জায়গার অভাব ঘটে অনেক ক্ষেত্রেই। সাধ্যের মধ্যে ওই কোণের উপযোগী কোনও আসবাব বানালে বা কিনলে এক দিকে যেমন জায়গাটির যথাযোগ্য ব্যবহার হবে, তেমনই ঘরের সৌন্দর্যও বাড়বে। এই কর্নার স্পেসে ফুলের টব, বুকশেলফ বা তিনকোনা স্ট্যান্ড রাখা যায়। প্রত্যেকটির ব্যবহার বা গৃহসজ্জায় তার অবদান আলাদা।
ভাঁজ করা আসবাব
আধুনিক বাড়িতে জায়গা বাঁচানোর ক্ষেত্রে ফোল্ডিং আসবাবের এক বিশাল ভূমিকা রয়েছে।
খাট, সোফা, টেবিল, ড্রয়ার, চেয়ার– সবই এখন ভাঁজ করা সংস্করণে পাওয়া যায়। ফোল্ডিং আসবাবপত্র ব্যবহারের বহু সুবিধাও রয়েছে। যখন ব্যবহার করছেন না, অনায়াসে ভাঁজ করে রেখে দিন। জায়গা কম লাগবে অনেকটাই। যেমন সোফা কাম বেড। বিছানার প্রয়োজন না থাকলে ভাঁজ করে সোফা হিসেবে ব্যবহার করুন। টেবিল বা চেয়ারের ক্ষেত্রেও এ রকম অত্যাধুনিক বিকল্প রয়েছে বাজারে। ঠিক যেমন ফোল্ডিং শেল্ফ। অনেকটা জায়গা জোড়া বড় আকারের কোনও শেল্ফ বাতিল করে এই তাক কাজে লাগাতেই পারেন। দেশলাইয়ের বাক্সের মতো ছোট ফ্ল্যাটবাড়িতে এই ধরনের আসবাবের জুড়ি নেই।
আসবাবের রদবদল
পুরনো আসবাবকে একটু বদলেও নতুন করা যেতে পারে। অনেক দিনের পুরনো জামাকাপড়ের ওয়ার্ডরোবটি যেমন অনায়াসে স্নানঘরের সামনে বা পাশে রাখতে পারেন স্নানপোশাক রাখার জন্য। আবার অনেক দিনের পুরনো দরজার একটি পাল্লা ডিভানের হেডবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
পুজোর আগে ছোটখাটো এমন কিছু বদল। তাতেই পাল্টে যাবে আপনার চেনা ঘরের চেহারা!
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy