এই সেদিনও ভারতীয় ক্রিকেট দল ছিল যেন দাড়ি না কাটার চলমান বিজ্ঞাপন! সাম্প্রতিক অতীতে এমনও গিয়েছে যে, ভারতের ক্রিকেট টিমের ১১ জন খেলোয়াড়ের ১১ জনেরই এক গাল দাড়ি। অথচ, ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে সম্ভবত প্রথম যে তারকা ক্রিকেটারের বিজ্ঞাপন দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিলেন, সেই ফারুখ ইঞ্জিনিয়ারের বিজ্ঞাপিত পণ্যটি ছিল একটি বিখ্যাত দাড়ি কামাবার সাবান।
তবে বোধহয় আবার ভারতের জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে দাড়ি কামানোর প্রবণতা বাড়ছে। যেমন, এই মুহূর্তে ভারতের বিশ্বকাপ ক্রিকেট দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের মুখ শ্বেতশুভ্র। গালে একবিন্দু দাড়ি নেই। সে তরুণ প্রজন্মের শুভমান গিল বলুন, কিম্বা সবচেয়ে সিনিয়র ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিনই বলুন।
কিন্তু দাড়ি রোজ কাটলে কী হয়? ক্ষতি? নাকি উল্টোটা? শোনা যাক, ত্বক চিকিৎসকদের পরামর্শ। তাঁরা বলছেন—
১. রোজ দাড়ি কাটলে গালের ত্বকের ওপর থেকে সমস্ত মৃতকোষ সরে যায়।
২. রোজ দাড়ি কাটলে মুখের ত্বকের জেল্লা ফিরে আসে। মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
৩. রোজ দাড়ি কাটলে ত্বকের ভিতরে ক্ষত যদি থাকে, সে সব সেরে যায়।
৪. রোজ দাড়ি কাটলে ত্বক থেকে তার তেল ক্ষরণ কম হয়।
৫. রোজ দাড়ি কাটলে ব্রণর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৬. রোজ দাড়ি কাটলে মুখে বয়েসের ছাপ পড়ে না।
৭. রোজ দাড়ি কাটলে বয়স্কদেরও মুখের ত্বকের বলিরেখা দূর হয়।
৮. দাড়ি কাটার আগে গালে যে ক্রিম অথবা জেল লাগানো হয়, সেটা ত্বকের ‘পিএইচ’ অর্থাৎ ত্বকে এক ধরনের যে অ্যাসিডিক পদার্থ থাকে, তার ভারসাম্য বজায় রাখতে কার্যকরী ভূমিকা নেয়।
৯. রেজার বা ব্লেড ত্বকে চেপে ধরে দাড়ি কাটলে, আরও ভাল ভাবে দাড়ি কামানো হয়। এটা ভুল ধারণা।
১০. রোজ দিনে দু’ বার দাড়ি কাটলে দাড়ির গোড়া শক্ত হয়ে যায়, দাড়ি তুলনায় বেশি ঘন হয়, এই দু’টি ধারণাই ভুল।
১১. তবে দাড়ি কাটার ক্ষেত্রে দু’টি কাজ করলে গালের ত্বকের ক্ষতি হয়। প্রথমত, শেভিং ক্রিম গালে না লাগিয়ে দিনের পর দিন দাড়ি কামালে ত্বকের ক্ষতি হয়।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy