বয়স ৪০ বা ৫০, যা-ই হোক না কেন, দেখতে লাগবে ২৫-৩০! এই সুপ্ত ইচ্ছে বোধহয় কম বেশি সকলের মনেই কখনও না কখনও উঁকি দিয়ে যায়। কিন্তু বয়স বাড়লেই বলিরেখা, ফাইন লাইন-সহ গুচ্ছের সমস্যা হাজির। তবে বিজ্ঞান কিন্তু তারুণ্যকে ধরে রাখার পদ্ধতি বার করে ফেলেছে। বোটক্স ট্রিটমেন্ট। এখনকার দিনে তারকা থেকে সাধারণ মানুষ অনেকেই এই পদ্ধতিতে নিজের রূপ বদল করে থাকেন। পুজোর আগে আরও সুন্দরী হয়ে উঠতে বোটক্স করানো পরিকল্পনা করছেন করিনা কপূর, শিল্পা শেট্টিদের মতো? এই সে দিন কিন্তু উর্ফী জাভেদের ঠোঁট-মুখ ফুলে যাওয়া চেহারা সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় ফেলেছিল। তাই আগেভাগে জেনে রাখুন ত্বকের জন্য কতটা ভাল এই ট্রিটমেন্ট। কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কি না, কোন কোন ক্ষেত্রে হতে পারে, সে সম্পর্কেও ধারণা থাকা জরুরি।
কী এই বোটক্স?
বোটক্স ওরফে বোটুলিনাম টক্সিন, আদতে একটি নিউরোটক্সিক প্রোটিন। এটি স্নায়ুতন্ত্রের সংকোচনের সঙ্কেতকে পেশিতে আসতে বাধা দেয়। পেশিকে শিথিল করে। বোটক্স ট্রিটমেন্ট মূলত চোখের চার পাশে, ঠোঁটের পাশে, দুই ভ্রু-র মাঝে করা হয়ে থাকে। এই ট্রিটমেন্ট করালে বলিরেখা কমে যায়, ত্বক মসৃণ দেখায়, ফলে তার তারুণ্য বজায় থাকে।
বোটক্স কি আদৌ উপকারী, নাকি এর কুপ্রভাব পড়ে ত্বকে? বোটক্স করানোর পরে কিছু ক্ষেত্রে সাময়িক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ফোলা ভাব, হালকা ব্যথা, মাথা ভার হয়ে থাকা, কিংবা জ্বরের মতো কিছু সমস্যা হতে পারে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ইনজেকশনের জায়গায় রক্ত জমে যেতে দেখা যায়।
তবে বোটক্স করালেও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বা তারুণ্য ধরে রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা এবং সঠিক ডায়েট মেনে চলাও সমান ভাবে জরুরি।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।