‘ভি-গার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ় লিমিটেড’, ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সের জগতে একটি শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড, যা দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে নিয়ে এল একটি সামাজিক চিন্তামূলক নতুন ব্র্যান্ড ফিল্ম। ‘ভি-গার্ড’-এর এই অভিনব উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য নারী সুরক্ষার বার্তা সমাজের কাছে পৌঁছে দেওয়া। ‘দ্য থার্ড আই’ নামের এই ব্র্যান্ড ফিল্মটি মানুষকে নিজের ভিতরের বিবেক জাগ্রত করতে এবং নারীদের প্রতি সম্মান ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার ভূমিকা পুনর্বিবেচনা করার কথা বলে।
এই ডিজিটাল ব্র্যান্ড ফিল্মটির শুরুতেই দেখা যায় এক অভিনব প্রযুক্তি — ‘ভি-গার্ড ৩আই আইওয়্যার’। এটি এমন এক স্মার্ট চশমা, যা অপরাধীর মুখ চিনে, হয়রানির ঘটনাকে রেকর্ড করে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক করে। যখন কোনও মহিলা এই চশমা পরে পথে হাঁটেন, তখন কোনও ব্যক্তি যদি অসামাজিক কাজকর্ম করে থাকেন, তখন তাকে সেই চশমা শনাক্ত করে। কিন্তু শেষ পর্যায়ে এসে এই ব্র্যান্ড ফিল্মটি এক বাস্তব সত্যকে সামনে আনে। এই চশমা আসলেই সত্যি নয়, এটি কাল্পনিক, কিন্তু যে সমস্যাকে কেন্দ্র করে এই ব্র্যান্ড ফিল্ম, সেটি ভীষণভাবে সত্যি।
বিশদে জানতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে ভিডিয়োটি দেখুন:
‘৩আই আইওয়্যার’ আসলে একটি প্রতীকী রূপক, যা সমাজকে বার্তা দেয়, প্রযুক্তির আশায় থেকে নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না। প্রত্যেক নারীকেই আত্মসুরক্ষার জন্য নিজের ভেতরের ‘তৃতীয় চক্ষু’ জাগিয়ে তোলা প্রয়োজন।
দেবী দুর্গা শক্তি, সাহস এবং রক্ষার প্রতীক। এই ব্র্যান্ড ফিল্মটির মাধ্যমে ‘ভি-গার্ড’ এই বার্তাই দেয় যে শুধুমাত্র মন্দিরে নয়, দেবী দুর্গাকে প্রত্যেকটি নারীর মধ্যে পুজো করা উচিত।
এই ব্র্যান্ড ফিল্মটির প্রসঙ্গে ‘ভি-গার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ় লিমিটেড’-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট (ব্র্যান্ড ও কমিউনিকেশন) নন্দগোপাল নায়ার বলেন, “দুর্গাপূজা আমাদের চিরন্তন শিক্ষা দেয় যে, আলো অন্ধকারকে জয় করে এবং শুভ অশুভকে পরাভূত করে। তবে দেবীর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা প্রকাশ পায় আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নয়, বরং আমরা নারীদের কী ভাবে সম্মান জানাই এবং রক্ষা করি তার উপর। ‘ভি-গার্ড থার্ড আই’ কোনও পণ্য নয়, এটি সমাজের প্রতি একটি আয়না, যা প্রশ্ন করে, নারীদের জন্য আমাদের ঘর, রাস্তা ও কর্মক্ষেত্র কি যথেষ্ট নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ?”
‘ভি-গার্ড’, লাইফস্টাইল, বিনোদন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে, যাতে তাদের ফলোয়ার্সদের মাধ্যমে এই ব্র্যান্ড ফিল্মটি সবার কাছে পৌঁছে যায়।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।