এক চিলতে বারান্দা মনের মতো
‘বারান্দায় রোদ্দুর...আমি আরামকেদারায় বসে...’ - আরামকেদারা হোক বা না হোক বারান্দাটি বেশ আরামদায়ক হতে হবে কিন্তু। আমাদের কত মুহূর্তের সাক্ষী যে এই বারান্দা, তার ইয়ত্তা নেই। কত ভাল লাগা বা মন খারাপের স্মৃতির আসা যাওয়া, বেশির ভাগই তো এই বারান্দায় বসে তাই না?
অবসর কাটাতে এক চিলতে বারান্দাই যথেষ্ট। কিন্তু বুঝে উঠতে পারছেন না বারান্দাটিকে আরও একটু আরামদায়ক বানাবেন কী ভাবে? গাছপালা তো রয়েছেই, এর সঙ্গে একটু বসার জায়গা থাকলে কেমন হয়? ছোট্ট বারান্দায় মানানসই আসবাব রাখতে পারলে বারান্দার চেহারা যেমন পালটে যায়, তেমনই বসার আয়োজনও হয়ে যায় একাধারে। কী ভাবে ঠিক জায়গায় ঠিক আসবাব রাখলে বারান্দার চেহারা পাল্টে যাবে, তার হদিস নিয়ে এল আনন্দ উৎসবের এই প্রতিবেদন।
কুশন বা গদি মোটামুটি সব বাড়িতেই এখন সহজলভ্য। বারান্দার আয়তন বুঝে নিয়ে মেঝেতে কুশন বা গদি বিছিয়ে নিন। একটু আয়েশ করে সময় কাটানোর একেবারে আদর্শ। বারান্দার এক দিকের কোণে মাটির টব বা অন্য কোনও পাত্রে জল দিয়ে কিছু গাছ বা লতাপাতা রেখে দিন। বাড়ির নান্দনিকতা বেড়ে যাবে বেশ খানিকটা।
বাড়ি যদি একটু পুরনো দিনের হয়, সে ক্ষেত্রে বারান্দায় হোগলাপাতা, বেত অথবা বাঁশের তৈরি মোড়া রাখতে পারেন। বারান্দায় আসবাব থাকলে বৃষ্টির বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে বৃষ্টির ছাঁটে আসবাব যেন ভিজে না যায়। তা এড়াতেই অনেকে বারান্দায় প্লাস্টিকের আসবাব ব্যবহার করে থাকেন, যা একেবারেই মানানসই নয়। বরং বারান্দার সৌন্দর্য নষ্ট করে। সবুজ গাছপালায় ঘেরা বারান্দায় প্লাস্টিকের আসবাব একেবারেই বেমানান।
অবসরে যদি লেখালিখি বা গান শোনার অভ্যেস থাকে আর বারান্দা যদি ছোট হয়, তা হলে রাখা যেতে পারে ছোট গোলাকার কাচের টেবিল। তাতে থাক ছোট ছোট টি-পট, ফুলদানি আর কলম-ডায়েরি। বিকেলের চায়ের আয়োজনের জন্যও উপযুক্ত এ রকম ছিমছাম অথচ আভিজাত্যে ভরপুর এক চিলতে বারান্দা।
তবে আর দেরি কেন! পছন্দ মতো সাজিয়ে তুলুন নিজের ছোট্ট বারান্দা। নিজের মতো উপভোগ করুন একান্ত অবসর।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy