দুর্গাপুজো মানেই নতুন পোশাকে নিজেদের সাজিয়ে তোলার উৎসব। একই ভাবে এটাই সময় নিজের ঘরকেও নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলার। আলাদা রং কিংবা আসবাবপত্রে নতুনত্বের ছোঁয়ায় পুরনো বাড়িও সেজে ওঠে নতুন করে। কিন্তু এ বছরটা যদি একটু অন্য রকম হয়? বাড়ি সাজানো হয় পরিবেশের কথা মাথায় রেখে? এতে যে শুধু কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমবে তা নয়, বরং বাড়ি সাজাতেও পারবেন কম খরচে।
আসুন, তা হলে জেনে নেওয়া যাক কী ভাবে পরিবেশবান্ধব উপায়ে বাড়ি সাজিয়ে তোলা যায়--
সবুজের সমারোহে সাজুক ঘর: বাড়িতে গাছ লাগানো একাধারে এক সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। এতে ঘরও সতেজ ও সুদৃশ্য হয়ে ওঠে। সাশ্রয়ী গৃহসজ্জার জন্য গাছ আদর্শ। এটি শুধু আপনার ঘরকেই সুন্দর করে তোলে না, বরং অন্দরের বাতাসকেও বিশুদ্ধ করে তোলে। যা আপনার শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী।
প্রদীপ জ্বলুক ঘরের কোণে: ঘরে সাবেকিয়ানার ছোঁয়া আনে মাটির প্রদীপ। তেমনই দেখতেও ভারী সুন্দর লাগে। হরেক রকম রংবেরঙের নকশা আঁকা প্রদীপ জ্বেলে সাজিয়ে তুলতে পারেন সারা বাড়ি।
ফুলের সৌন্দর্য: বাড়ি সাজাতে পারেন নানা রঙের ফুলে। একগোছা রজনীগন্ধা ফুল ঘরে রাখলে যেমন সুবাসে ভরে ওঠে চারপাশ, তেমনই বসার ঘরে একটি পাত্রে জলের মধ্যে গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে দিলেও খুব সুন্দর দেখতে লাগে।
আলোকসজ্জা ও সাশ্রয়ী আলো: ঘরবাড়ি আলো করে তুলতে ‘এলইডি লাইট’ ব্যবহার করতে পারেন। বাড়ি থাকবে আলোকময়। এই আলোগুলি যেমন ঘরের পরিবেশকে স্নিগ্ধ করে তোলে, তেমনই বিদ্যুৎ খরচও কম হয়।
নতুন কাপড়ের সৃজনশীলতা: গৃহসজ্জার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হতে পারে কাপড়। বাড়িতে থাকা রংবাহারি ওড়নার কাপড়ে দেওয়াল সাজাতে পারেন। দরজা-জানলায় লাগাতে পারেন নতুন পর্দা। শোয়ার ঘরে বিছানায় নতুন সুতির চাদর পাততে পারেন। নতুন কাপড় দিয়ে সাজিয়ে তুলতে পারেন বসার ঘরের সেন্টার টেবিলও। ভোল পাল্টে যাবে সহজেই।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।