প্রতীকী ছবি
জুঁই ফুলের মতো সাদা ভাত। পড়ল সোনার মতো ঝকঝকে থালায়। সঙ্গে মুগ ডাল, ঝুরঝুরে আলু ভাজা, গরম গরম সরষে ইলিশ, চিংড়ির মালাইকারি… জাস্ট ভাবা যায় না! মনে হবে যেন ‘ওহ্ ক্যালকাটা’ বা ‘আহেলি’তে বসে। অথবা গিয়েছি কোনও রাজবাড়িতে।
এখন তো আর রেস্তোরাঁ ছাড়া এই পরিপাটি ভাব পাওয়াও যায় না। কাঁসার বাসনে খান। হ্য়াঁ যদি কায়ংসার বাসন না থাকে, তা হলে কিনতে হবে। আর এক বার কিনলে, বাডিতেই রেস্তোরাঁ। আপনি নিজেই চমকে উঠবেন নিজের বাড়ি দেখে।
ভাবুন, উৎসব মুখর চারিদিক। ঘরে বাইরে পুজোর রেশ। ঢাকের আওয়াজ। আর খাবার টেবিলে? বাংলার কাঁসার বাসন। কোনও জুড়ি নেই। যতই বোন চায়না, বা সেরামিক থাক, এক বার কাঁসার থালায় খেয়ে ও খাইয়ে দেখুন। আভিজাত্যই আলাদা। ধন্য ধন্য করবে অতিথি।
ইউএনএসকো হেরিটেজ আখ্যা দিয়েছে দুর্গাপুজোকে, আর আমরা পুজোয় সনাতনী ভাব আনব না? তা কি হয়!
তবে শুধুমাত্র নান্দনিকতাই নয়, খাঁটি কাঁসার বাসনের বেশ কিছু বিজ্ঞানসম্মত গুণও আছে। আয়ুর্বেদ মতে কাঁসার বাসনে খাওয়ার কিছু ‘থেরাপিউটিক’ সুবিধা আছে। ভাল হজম ক্ষমতা, খাবারের বিশুদ্ধিকরণ, এমনকি চিন্তা কমাতেও কাঁসার বাসন কার্যকর। শুধু তাই নয়, কাঁসার মধ্যে তামা থাকে যা অম্বল কমায়, হিমোগ্লোবিন স্তর বাড়ায় এবং সঠিক রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম বা ত্বকের পক্ষেও কাঁসা ভাল। সংস্কৃত ভাষায় প্রচলিত আছে, “কাঁস্যাম বুদ্ধিবার্ধাকাম”। অর্থাৎ, কাঁসা চিন্তাশক্তি বাড়ায়। এবং সংক্রমণ রোধ করে।
ও হ্যাঁ, একটা ভাল কথা, দেখছেনই তো, বাজারে কাঁসার তৈরি জলের বোতল ভরে গেছে। সবাই কাচ প্লাস্টিক স্টিল ছেড়ে কিনছেও সে সব। মানে, কাঁসার বোতলে জল খাওয়া ইতিমধ্য়েই ফ্য়াশন কিন্তু!
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy