সুগন্ধি মোমবাতি শুধুই ঘর আলোকিত করে না। সেই সঙ্গে পরিবেশকে সুবাসিত করে মন ভাল করে দেয়। পুজোর আগে সকলেই কমবেশি ঘর সাজানোয় নজর দেয়। এই ধরনের মোমবাতি ঘর সাজানোর পাশাপাশি মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে। এটি নেতিবাচক শক্তি দূর করে এবং ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করে। সুগন্ধি জার ক্যান্ডেলগুলি ল্যাভেন্ডার, চন্দন, জুঁই, লেমন গ্রাস, বেলীফুল, গোলাপ-সহ নানা সুবাসের হয়। এই মোমবাতি ঘরকে সুরভিত করে তোলে। এটি সাধারণত ঘর সাজানোর একটি উপাদান হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
সুগন্ধি মোমবাতি ব্যবহারের আগে জেনে নিন তার গুণের সমাহার:
ল্যাভেন্ডার: ল্যাভেন্ডারের সুবাস মেডিটেশনের ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত। এটি মনোযোগ বৃদ্ধিতে, গভীর ঘুম হতে, এমনকি অবসাদের লক্ষণ থাকলে তা কমাতেও খুব ভাল কাজ দেয়। ঘরে আনে সমৃদ্ধি।
চন্দন: চন্দনগন্ধি মোমবাতির অনেক গুণ রয়েছে। চন্দন কাঠের সুবাস মনকে শান্ত করে ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এই মোমবাতি ঘরে রাখলে এক আলাদা মনোরম পরিবেশ তৈরী করে।
জুঁই: জুঁই ফুলের সুবাস-যুক্ত মোমবাতি ঘরকে মনোরম ও সতেজ করে তোলে। বিভিন্ন ডিজাইন এবং রঙের এই সুগন্ধি মোমবাতি ঘর সাজানোর একটি সুন্দর উপকরণ হতে পারে।
লেমনগ্রাস: এই মোমবাতিতে লেমনগ্রাস অয়েল ব্যবহার করা হয়। এর সৌরভ ঘরকে ভরিয়ে তোলে। লেমনগ্রাস এসেনশিয়াল অয়েল অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যযুক্ত, যা চারপাশ জীবাণুমুক্ত রাখতেও সহায়ক।
কারও কারও সুগন্ধি থেকে অ্যালার্জির আশঙ্কা থাকে। তাই ব্যবহারের আগে সতর্ক থাকতে হবে।
সুগন্ধি মোমবাতি যে কোনও দোকান থেকে কিনতে পারেন। অথবা অনলাইনেও পাওয়া যায়। এমনকি চাইলে বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন। তবে বিশ্বাসযোগ্য জায়গা থেকে কেনার চেষ্টা করবেন, যাতে মোমবাতিতে ব্যবহৃত উপাদানের বিষয়ে স্পষ্টতা থাকে। কারণ খারাপ মানের মোমবাতি এবং কৃত্রিম মোমের গন্ধে উপকার তো নেই-ই, বরং ক্ষতি হতে পারে। একটু উচ্চ মানের মোমবাতি ব্যবহার করাই ভাল। তাতে দাম বেশি হলেও গুণমানের দিকটা খেয়াল রাখা জরুরি।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।