প্রেজেন্টস্
Knowledge Partner
Fashion Partner
Wedding Partner
Banking Partner
Comfort Partner
Cooch Behar Boro Devi Puja

৫০০ বছরের রাজপরম্পরা! কোচবিহারে আজও মানা হয় ‘বড়ো দেবী’র পুজো, জেনে নিন রাজবাড়ির গোপন রীতি

মহারাজা নরনারায়ণের আমল থেকে শুরু, আজও মেনেই চলেন কোচবিহারের রাজবাড়ির উত্তরসূরিরা, কালীপুজোর আগেই প্রাণ পায় রাজপরিবারের চিরন্তন দেবীপুজো

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:৫০
Share: Save:
০১ ১০
মহারাজা নরনারায়ণের সময়কালে, ১৫৩০ সাল নাগাদ শুরু হয়েছিল এই ‘বড় দেবী’ বা ‘বড় মা’–এর আরাধনা। সময় পাল্টেছে, রাজা নেই, কিন্তু সেই রাজকীয় প্রথা আজও সমান শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়।

মহারাজা নরনারায়ণের সময়কালে, ১৫৩০ সাল নাগাদ শুরু হয়েছিল এই ‘বড় দেবী’ বা ‘বড় মা’–এর আরাধনা। সময় পাল্টেছে, রাজা নেই, কিন্তু সেই রাজকীয় প্রথা আজও সমান শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়।

০২ ১০
একটু খেয়াল করলেই দেখা যায়, এই পুজোয় যেন এক ভিন্ন মেজাজ। দেবীর মূর্তির গড়ন আর তার চারপাশের নানা কাহিনি, আচার-অনুষ্ঠান— সব মিলিয়ে এক অন্য রকমের আকর্ষণ।

একটু খেয়াল করলেই দেখা যায়, এই পুজোয় যেন এক ভিন্ন মেজাজ। দেবীর মূর্তির গড়ন আর তার চারপাশের নানা কাহিনি, আচার-অনুষ্ঠান— সব মিলিয়ে এক অন্য রকমের আকর্ষণ।

০৩ ১০
লোক মুখে শোনা যায়, মহারাজ নরনারায়ণ নাকি স্বপ্নে আদেশ পেয়েছিলেন এই পুজো শুরু করার। আবার অনেকে বলেন, মহারাজ বিশ্বসিংহ নয় বছর বয়সে সজনে কাঠ আর বাঁশ দিয়ে দেবী মূর্তি গড়ে দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন, যা পরে রাজ পরিবারের চিরায়ত প্রথায় পরিণত হয়।

লোক মুখে শোনা যায়, মহারাজ নরনারায়ণ নাকি স্বপ্নে আদেশ পেয়েছিলেন এই পুজো শুরু করার। আবার অনেকে বলেন, মহারাজ বিশ্বসিংহ নয় বছর বয়সে সজনে কাঠ আর বাঁশ দিয়ে দেবী মূর্তি গড়ে দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন, যা পরে রাজ পরিবারের চিরায়ত প্রথায় পরিণত হয়।

০৪ ১০
এই দেবীর প্রতিমা তৈরি হয় সজনে কাঠ দিয়ে। কোচবিহারের ডাংরাই মন্দিরে শ্রাবণ মাসের শুক্লা অষ্টমীতে সেই কাষ্ঠখণ্ড প্রথম পূজিত হয়। সে দিন সন্ধ্যায় সেই কাঠ এক মাস ধরে পুজো করার জন্য নিয়ে আসা হয় মদনমোহন বাড়িতে।

এই দেবীর প্রতিমা তৈরি হয় সজনে কাঠ দিয়ে। কোচবিহারের ডাংরাই মন্দিরে শ্রাবণ মাসের শুক্লা অষ্টমীতে সেই কাষ্ঠখণ্ড প্রথম পূজিত হয়। সে দিন সন্ধ্যায় সেই কাঠ এক মাস ধরে পুজো করার জন্য নিয়ে আসা হয় মদনমোহন বাড়িতে।

০৫ ১০
এর পর রাধাষ্টমীর দিন তা পালকিতে করে যায় দেবী বাড়িতে। সেখানেই সজনে কাঠের কাঠামোয় নিপুণ হাতে গড়ে তোলা হয় বড় দেবীর প্রতিমা। বংশ পরম্পরায় এই কাজ করেন কোচবিহারের শিল্পীরা। গত ৩৩ বছর ধরে এই দায়িত্ব পালন করছেন প্রভাত চিত্রকর।

এর পর রাধাষ্টমীর দিন তা পালকিতে করে যায় দেবী বাড়িতে। সেখানেই সজনে কাঠের কাঠামোয় নিপুণ হাতে গড়ে তোলা হয় বড় দেবীর প্রতিমা। বংশ পরম্পরায় এই কাজ করেন কোচবিহারের শিল্পীরা। গত ৩৩ বছর ধরে এই দায়িত্ব পালন করছেন প্রভাত চিত্রকর।

০৬ ১০
আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হল— এই বড় দেবীর পাশে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ কেউই থাকেন না। বরং থাকেন দেবীর দুই সহচরী— জয়া ও বিজয়া।

আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হল— এই বড় দেবীর পাশে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ কেউই থাকেন না। বরং থাকেন দেবীর দুই সহচরী— জয়া ও বিজয়া।

০৭ ১০
আগের দিনের এক অদ্ভুত প্রথাও জড়িয়ে আছে এই পুজোর সঙ্গে। স্থানীয়দের দাবি, এক সময় নরবলি দেওয়া হতো এখানে।

আগের দিনের এক অদ্ভুত প্রথাও জড়িয়ে আছে এই পুজোর সঙ্গে। স্থানীয়দের দাবি, এক সময় নরবলি দেওয়া হতো এখানে।

০৮ ১০
সেই প্রথা এখন বন্ধ হলেও, রক্তদান-এর ধারাটি আজও বহমান। অষ্টমীর রাতে হয় ‘গুপ্ত পুজো’। কোচবিহারের সিদ্ধেশ্বরী এলাকার রাজপরিবারের সদস্যরা আজও রীতি মেনে নিজেদের আঙুল কেটে রক্ত দিয়ে থাকেন। সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার থাকে না। এ ছাড়াও, অষ্টমীর দিন বলি হয় মহিষ।

সেই প্রথা এখন বন্ধ হলেও, রক্তদান-এর ধারাটি আজও বহমান। অষ্টমীর রাতে হয় ‘গুপ্ত পুজো’। কোচবিহারের সিদ্ধেশ্বরী এলাকার রাজপরিবারের সদস্যরা আজও রীতি মেনে নিজেদের আঙুল কেটে রক্ত দিয়ে থাকেন। সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার থাকে না। এ ছাড়াও, অষ্টমীর দিন বলি হয় মহিষ।

০৯ ১০
রাজা না থাকলেও, রাজ আমলের সব আচার-অনুষ্ঠান আজও একই রকম ভাবে পালিত হয়। দেবীর আগমন উপলক্ষে দেবীবাড়ি মন্দির প্রাঙ্গণে মেলাও বসে। শুধু কোচবিহার নয়, পার্শ্ববর্তী অসম এবং অন্য জেলা থেকেও বহু মানুষ আসেন এই মেলায়।

রাজা না থাকলেও, রাজ আমলের সব আচার-অনুষ্ঠান আজও একই রকম ভাবে পালিত হয়। দেবীর আগমন উপলক্ষে দেবীবাড়ি মন্দির প্রাঙ্গণে মেলাও বসে। শুধু কোচবিহার নয়, পার্শ্ববর্তী অসম এবং অন্য জেলা থেকেও বহু মানুষ আসেন এই মেলায়।

১০ ১০
রাজপরিবারের ‘বড়ো মা’ আজও বাঁচিয়ে রেখেছেন এক চিরজাগ্রত ঐতিহ্যকে।   (‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।

রাজপরিবারের ‘বড়ো মা’ আজও বাঁচিয়ে রেখেছেন এক চিরজাগ্রত ঐতিহ্যকে। (‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy