প্রেজেন্টস্
Knowledge Partner
Fashion Partner
Wedding Partner
Banking Partner
Comfort Partner
Akalipur Guhyakali Temple

দেবী গুহ্যকালীর অলৌকিক কাহিনি, কালীপুজোর রাতে দেবী নিজেই মন্দির ছেড়ে বেড়িয়ে পড়েন!

মগধরাজ জরাসন্ধের গোপন সাধনা থেকে শুরু করে মহারাজ নন্দকুমারের স্বপ্নাদেশ—বীরভূমের আকালিপুরের গুহ্যকালীর মন্দির ঘিরে আজও শোনা যায় অলৌকিক কাহিনি

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:১২
Share: Save:
০১ ১০
দেখতে দেখতে চলে এল কালীপুজো! এ বার ঘোর অমাবস্যার রাতে জেগে ওঠার পালা। তবে এই উৎসবের আবহের মধ্যেই বীরভূমের এক ছোট্ট গ্রামের কাহিনি ভক্তদের মনে এনে দেয় এক অন্য শিহরণ। এ এমন এক মন্দির, যেখানে নাকি কালীপুজোর রাতেই দেবী নিজেই মন্দির ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।

দেখতে দেখতে চলে এল কালীপুজো! এ বার ঘোর অমাবস্যার রাতে জেগে ওঠার পালা। তবে এই উৎসবের আবহের মধ্যেই বীরভূমের এক ছোট্ট গ্রামের কাহিনি ভক্তদের মনে এনে দেয় এক অন্য শিহরণ। এ এমন এক মন্দির, যেখানে নাকি কালীপুজোর রাতেই দেবী নিজেই মন্দির ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।

০২ ১০
বীরভূম জেলার ভদ্রপুর গ্রামের কাছে ব্রাহ্মণী নদীর তীরে রয়েছে আকালিপুর গ্রাম। এখানেই বিরাজ করেন এক রহস্যময়ী দেবী— মা গুহ্যকালী। তাঁর নামের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এক প্রাচীন কাহিনি।

বীরভূম জেলার ভদ্রপুর গ্রামের কাছে ব্রাহ্মণী নদীর তীরে রয়েছে আকালিপুর গ্রাম। এখানেই বিরাজ করেন এক রহস্যময়ী দেবী— মা গুহ্যকালী। তাঁর নামের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এক প্রাচীন কাহিনি।

০৩ ১০
লোকমুখে শোনা যায়, মহাভারতের যুগে মগধের পরাক্রমশালী রাজা জরাসন্ধ গোপনে এই দেবীর পুজো করতেন। তাঁর গুপ্ত সাধনা থেকেই দেবীর নাম হয় ‘গুপ্ত কালী’, যা পরে লোক মুখে গুহ্যকালী নামে পরিচিতি লাভ করে।

লোকমুখে শোনা যায়, মহাভারতের যুগে মগধের পরাক্রমশালী রাজা জরাসন্ধ গোপনে এই দেবীর পুজো করতেন। তাঁর গুপ্ত সাধনা থেকেই দেবীর নাম হয় ‘গুপ্ত কালী’, যা পরে লোক মুখে গুহ্যকালী নামে পরিচিতি লাভ করে।

০৪ ১০
কিন্তু কালের স্রোতে সেই মূর্তি হারিয়ে যায়। বহু শতাব্দী পর রানি অহল্যাবাই স্বপ্নাদেশ পেয়ে তাঁকে আবিষ্কার করেন। ইংরেজ শাসক ওয়ারেন হেস্টিংস যখন মূর্তিটি বিদেশে পাচার করতে চাইলেন, তখন কাশীরাজ চৈত সিং-এর বিশ্বস্ত এক জন সেই বিগ্রহকে গঙ্গায় ডুবিয়ে দেন।

কিন্তু কালের স্রোতে সেই মূর্তি হারিয়ে যায়। বহু শতাব্দী পর রানি অহল্যাবাই স্বপ্নাদেশ পেয়ে তাঁকে আবিষ্কার করেন। ইংরেজ শাসক ওয়ারেন হেস্টিংস যখন মূর্তিটি বিদেশে পাচার করতে চাইলেন, তখন কাশীরাজ চৈত সিং-এর বিশ্বস্ত এক জন সেই বিগ্রহকে গঙ্গায় ডুবিয়ে দেন।

০৫ ১০
এর পরই মহারাজ নন্দকুমার স্বপ্নে দেবীর দর্শন পান। দেবী তাঁকে নির্দেশ দেন, “আমি গঙ্গার জলে আছি, আমাকে উদ্ধার করে তোমার জন্ম ভূমির কাছে প্রতিষ্ঠা করো।”

এর পরই মহারাজ নন্দকুমার স্বপ্নে দেবীর দর্শন পান। দেবী তাঁকে নির্দেশ দেন, “আমি গঙ্গার জলে আছি, আমাকে উদ্ধার করে তোমার জন্ম ভূমির কাছে প্রতিষ্ঠা করো।”

০৬ ১০
কাশীরাজের সাহায্যে গঙ্গা থেকে উদ্ধার করা হয় কৃষ্ণবর্ণ কষ্টিপাথরের সেই অপূর্ব বিগ্রহ। মহারাজা নন্দকুমার নদী পার হয়ে ব্রাহ্মণী নদীর তীরে, শ্মশানের পাশে, তন্ত্রসাধনার উপযুক্ত এক নির্জন স্থানে অষ্টকোণাকার ইট দিয়ে মন্দির নির্মাণ করে দেবীকে প্রতিষ্ঠা করেন। এই আটটি কোণ নাকি অষ্টাঙ্গ যোগের প্রতীক।

কাশীরাজের সাহায্যে গঙ্গা থেকে উদ্ধার করা হয় কৃষ্ণবর্ণ কষ্টিপাথরের সেই অপূর্ব বিগ্রহ। মহারাজা নন্দকুমার নদী পার হয়ে ব্রাহ্মণী নদীর তীরে, শ্মশানের পাশে, তন্ত্রসাধনার উপযুক্ত এক নির্জন স্থানে অষ্টকোণাকার ইট দিয়ে মন্দির নির্মাণ করে দেবীকে প্রতিষ্ঠা করেন। এই আটটি কোণ নাকি অষ্টাঙ্গ যোগের প্রতীক।

০৭ ১০
 তবে লোক কথা বলে, মন্দিরটি আজও অসম্পূর্ণ। কারণ, এক রাতের মধ্যে নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। অনেকের বিশ্বাস, নন্দকুমারের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই মন্দিরের দেওয়ালে ফাটল দেখা গিয়েছিল।

তবে লোক কথা বলে, মন্দিরটি আজও অসম্পূর্ণ। কারণ, এক রাতের মধ্যে নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। অনেকের বিশ্বাস, নন্দকুমারের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই মন্দিরের দেওয়ালে ফাটল দেখা গিয়েছিল।

০৮ ১০
এই গুহ্যকালীর রূপ কিন্তু দশমহাবিদ্যার সাধারণ কালী প্রতিমার থেকে অনেকটাই আলাদা। তিনি দ্বিভুজা, বিশাল এক সাপের ওপর আসীন। হাতে অভয় মুদ্রা, গলায় মানুষের মাথার মালা। কালো, ভয়ংকর দেহ, দাঁত বাইরে বেরিয়ে আসা। আর মাথার ওপরে অসংখ্য সাপের ফণা— এ যেন কুণ্ডলিনী শক্তিরই প্রতীক!

এই গুহ্যকালীর রূপ কিন্তু দশমহাবিদ্যার সাধারণ কালী প্রতিমার থেকে অনেকটাই আলাদা। তিনি দ্বিভুজা, বিশাল এক সাপের ওপর আসীন। হাতে অভয় মুদ্রা, গলায় মানুষের মাথার মালা। কালো, ভয়ংকর দেহ, দাঁত বাইরে বেরিয়ে আসা। আর মাথার ওপরে অসংখ্য সাপের ফণা— এ যেন কুণ্ডলিনী শক্তিরই প্রতীক!

০৯ ১০
ভক্তদের ভক্তির সঙ্গে মিশে আছে এক অদ্ভুত শান্তি। আজও মন্দিরের সামনে সেই প্রাচীন বেদি, পাশে বয়ে চলেছে ব্রাহ্মণী নদী, আর দূরে মহশ্মশান। এই পরিবেশ ভক্তদের মনে এক গভীর ভক্তিভাব জাগিয়ে তোলে। প্রতি বছর আশ্বিন মাসের শুক্ল চতুর্দশী এবং মাঘ মাসের কৃষ্ণ চতুর্দশীতে এখানে বিশেষ পুজো হয়।

ভক্তদের ভক্তির সঙ্গে মিশে আছে এক অদ্ভুত শান্তি। আজও মন্দিরের সামনে সেই প্রাচীন বেদি, পাশে বয়ে চলেছে ব্রাহ্মণী নদী, আর দূরে মহশ্মশান। এই পরিবেশ ভক্তদের মনে এক গভীর ভক্তিভাব জাগিয়ে তোলে। প্রতি বছর আশ্বিন মাসের শুক্ল চতুর্দশী এবং মাঘ মাসের কৃষ্ণ চতুর্দশীতে এখানে বিশেষ পুজো হয়।

১০ ১০
কিন্তু সব চেয়ে আশ্চর্য এই প্রথা— কালীপুজোর রাতে এই মন্দিরে কোনও পুজো হয় না! বিশ্বাস করা হয়, সেই রাতেই মা নিজেই গর্ভগৃহ থেকে বেরিয়ে আসেন, নূপুরের শব্দে তুলে গ্রাম জুড়ে ঘুরে বেড়ান!  (‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।

কিন্তু সব চেয়ে আশ্চর্য এই প্রথা— কালীপুজোর রাতে এই মন্দিরে কোনও পুজো হয় না! বিশ্বাস করা হয়, সেই রাতেই মা নিজেই গর্ভগৃহ থেকে বেরিয়ে আসেন, নূপুরের শব্দে তুলে গ্রাম জুড়ে ঘুরে বেড়ান! (‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy