প্রেজেন্টস্
Knowledge Partner
Fashion Partner
Wedding Partner
Banking Partner
Comfort Partner
Kamakhya Temple Human Sacrifice

দেবীকে তুষ্ট করতেই নাকি কামাখ্যায় নরবলি দেওয়া হত!

কর্তৃপক্ষের সাফ কথা, বর্তমানে এই ধরনের কোনও বেআইনি প্রথা মন্দিরে পালন করা হয় না।

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:৩০
Share: Save:
০১ ১০
অসমের কামাখ্যা মন্দির শুধুমাত্র ৫১ সতীপীঠের অন্যতম নয়, এটি তন্ত্র সাধনারও অন্যতম স্থান।

অসমের কামাখ্যা মন্দির শুধুমাত্র ৫১ সতীপীঠের অন্যতম নয়, এটি তন্ত্র সাধনারও অন্যতম স্থান।

০২ ১০
দাবি করা হয়, এক সময়ে এখানে নরবলি পর্যন্ত দেওয়া হত! দেবীকে তুষ্ট করতেই নাকি পালন করা হত এই ভয়ঙ্কর প্রথা!

দাবি করা হয়, এক সময়ে এখানে নরবলি পর্যন্ত দেওয়া হত! দেবীকে তুষ্ট করতেই নাকি পালন করা হত এই ভয়ঙ্কর প্রথা!

০৩ ১০
অসমের গুয়াহাটির নীলাচল পাহাড়ে কামাখ্যা মন্দিরে আদিশক্তি 'কামাখ্যা' রূপে পূজিতা হন। যাঁকে সৃষ্টি, উর্বরতা ও সংহারের দেবী হিসাবে মান্য করা হয়।

অসমের গুয়াহাটির নীলাচল পাহাড়ে কামাখ্যা মন্দিরে আদিশক্তি 'কামাখ্যা' রূপে পূজিতা হন। যাঁকে সৃষ্টি, উর্বরতা ও সংহারের দেবী হিসাবে মান্য করা হয়।

০৪ ১০
তথ্য বলছে, 'কালিকা পুরাণ' ও 'যোগিনী তন্ত্র'-র মতো প্রাচীন গ্রন্থে নরবলির (নর-পশু) উল্লেখ পাওয়া যায়।

তথ্য বলছে, 'কালিকা পুরাণ' ও 'যোগিনী তন্ত্র'-র মতো প্রাচীন গ্রন্থে নরবলির (নর-পশু) উল্লেখ পাওয়া যায়।

০৫ ১০
ঐতিহাসিকদের একাংশের মতে, কামাখ্যা মন্দিরটি এক সময়ে স্থানীয় খাসি বা কিরাত উপজাতির বলির স্থান ছিল। যেখানে পশুবলি ও এমনকী নরবলিও প্রচলিত ছিল!

ঐতিহাসিকদের একাংশের মতে, কামাখ্যা মন্দিরটি এক সময়ে স্থানীয় খাসি বা কিরাত উপজাতির বলির স্থান ছিল। যেখানে পশুবলি ও এমনকী নরবলিও প্রচলিত ছিল!

০৬ ১০
যাঁরা নরবলি দিতেন, তাঁরা বিশ্বাস করতেন, এই পদ্ধতিতেই নাকি চরম সিদ্ধি লাভ করা যাবে। শত্রুর বিনাশ হবে অথবা কোনও মহৎ উদ্দেশ্য পূরণ হবে!

যাঁরা নরবলি দিতেন, তাঁরা বিশ্বাস করতেন, এই পদ্ধতিতেই নাকি চরম সিদ্ধি লাভ করা যাবে। শত্রুর বিনাশ হবে অথবা কোনও মহৎ উদ্দেশ্য পূরণ হবে!

০৭ ১০
কালিকা পুরাণে নরবলির (নর-পশু) নির্দিষ্ট বিধান ও মন্ত্রের উল্লেখ রয়েছে। সেই অনুসারে - ব্রাহ্মণ ছাড়া অন্য কোনও উচ্চ বর্ণের যুবককে কয়েক দিন যত্ন করে খাইয়ে, তার পরে দেবীর সন্তুষ্টির জন্য বলি দেওয়া হত। এটি ছিল বিশেষ কিছু তান্ত্রিক ক্রিয়াকলাপের অঙ্গ, নিত্যদিনের পুজোর অংশ নয়।

কালিকা পুরাণে নরবলির (নর-পশু) নির্দিষ্ট বিধান ও মন্ত্রের উল্লেখ রয়েছে। সেই অনুসারে - ব্রাহ্মণ ছাড়া অন্য কোনও উচ্চ বর্ণের যুবককে কয়েক দিন যত্ন করে খাইয়ে, তার পরে দেবীর সন্তুষ্টির জন্য বলি দেওয়া হত। এটি ছিল বিশেষ কিছু তান্ত্রিক ক্রিয়াকলাপের অঙ্গ, নিত্যদিনের পুজোর অংশ নয়।

০৮ ১০
বেশির ভাগ ঐতিহাসিকই একমত যে, কামাখ্যায় একদা নরবলির প্রথা ছিল। তবে তা প্রাচীন আমলে, সম্ভবত কোচ রাজাদের পুনর্নির্মাণের (১৫৬৫ খ্রিষ্টাব্দ) বহু আগে।

বেশির ভাগ ঐতিহাসিকই একমত যে, কামাখ্যায় একদা নরবলির প্রথা ছিল। তবে তা প্রাচীন আমলে, সম্ভবত কোচ রাজাদের পুনর্নির্মাণের (১৫৬৫ খ্রিষ্টাব্দ) বহু আগে।

০৯ ১০
মনে করা হয়, পঞ্চদশ বা ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যেই এই প্রথা বন্ধ হয়ে যায়। ব্রিটিশ শাসনকালে এবং স্বাধীনতার পরে ভারতে নরবলি আইনত নিষিদ্ধ করা হয়।

মনে করা হয়, পঞ্চদশ বা ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যেই এই প্রথা বন্ধ হয়ে যায়। ব্রিটিশ শাসনকালে এবং স্বাধীনতার পরে ভারতে নরবলি আইনত নিষিদ্ধ করা হয়।

১০ ১০
মন্দির কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বর্তমান যুগে এখানে এই ধরনের কোনও বেআইনি প্রথা পালন করা হয় না। তবে ছাগ ও মহিষবলি দেওয়া হয়। যা দক্ষিণাচার মতে হয়ে থাকে। কর্তৃপক্ষের মতে, নরবলির বেশির ভাগ ঘটনাই আসলে কুসংস্কারাচ্ছন্ন হত্যাকাণ্ড। যা মন্দিরের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের অংশ নয়। (‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)।  (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।

মন্দির কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বর্তমান যুগে এখানে এই ধরনের কোনও বেআইনি প্রথা পালন করা হয় না। তবে ছাগ ও মহিষবলি দেওয়া হয়। যা দক্ষিণাচার মতে হয়ে থাকে। কর্তৃপক্ষের মতে, নরবলির বেশির ভাগ ঘটনাই আসলে কুসংস্কারাচ্ছন্ন হত্যাকাণ্ড। যা মন্দিরের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের অংশ নয়। (‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy